কলকাতা: মহিলাদের ‘অমৃত কাল’-এর পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য এবার জমি চাইল কেন্দ্র। দেশের কর্মরত মহিলাদের থাকার জন্য একটি নিরাপদ আশ্রয় বানাতে চাইছে দিল্লি। সেই মর্মে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলির থেকে জমি চাওয়া হয়েছে। চিঠি পাঠানো হয়েছে বাংলার বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকেও। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জরি কমিশনের সচিব সেই চিঠিতে জানিয়েছেন, কর্মরত মহিলাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ক্যাম্পাসে ‘সখী নিবাস’ তৈরি করতে চাইছে কেন্দ্র। বিশ্ববিদ্যালয়গুলি যদি জমির ব্যবস্থা করে দেয়,তাহলে বাকি সব খরচ বহন করবে কেন্দ্রই। মহিলাদের হস্টেল তৈরি থেকে শুরু করে, তা পরিচালনা করা… সব খরচ বহন করবে কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রক। বিশ্ববিদ্যালয়গুলির কাছে অনুরোধ করা হয়েছে, যাতে ১০ দিনের মধ্যে এমন সম্ভব্য জমির তালিকা পাঠানোর জন্য। অন্তত ১০-১৫টি এমন জায়গা চিহ্নিত করে একটি তালিকা বানিয়ে পাঠানোর জন্য বলা হয়েছে।
বর্তমানে দেশের উচ্চশিক্ষায় মহিলাদের তাক লাগানো পারফর্ম্যান্স দেখা যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, কর্মরত মহিলাদের সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে। এমন অবস্থায় তাই গ্রামাঞ্চলের মহিলাদের জন্য এই বিশেষ সুবিধা আনতে চাইছে কেন্দ্র। অনেক মহিলাই কর্মসংস্থানের আরও ভাল সুযোগ পাওয়ার জন্য গ্রাম ছেড়ে কলকাতার মতো মেট্রো শহরগুলিতে, কিংবা অন্যান্য বড় শহরগুলিতে থাকতে শুরু করেছেন। ফলে তাঁদের একটি নিরাপদ ও সাশ্রয়ী ঠিকানা দরকার হচ্ছে শহর ও শহরতলিতে। আর এক্ষেত্রে এই ‘সখী নিবাস’ কর্মরত মহিলাদের জন্য একটি নিরাপদ আশ্রয়স্থল হয়ে উঠে পারে বলে মনে করছে কেন্দ্র। ইউজিসির সচিব মনীশ জৈন জানাচ্ছেন, এই সখী নিবাস মহিলাদের জন্য একটি ‘সিকিওর হাভেন’ হয়ে উঠবে।
কী কী সুযোগ সুবিধা পাওয়া যাবে কর্মরত মহিলাদের এই সিকিওর হাভেনে? স্বল্প খরচে থাকা-খাওয়া থেকে শুরু করে সন্তানদের জন্য ডে-কেয়ারের বন্দোবস্তও রাখতে চাইছে কেন্দ্র। কর্মরত মহিলাদের জন্য একটি নিরাপদ ও সাশ্রয়ী হোস্টেল পরিষেবা চালু করার টার্গেট নিয়েছে কেন্দ্র।