কলকাতা: শান্তিনিকেতনকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ ঘোষণা ইউনেস্কোর। রবিবার UNESCO তাদের X হ্যান্ডেলে এই ঘোষণা করে। ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ’ হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে তারা। শান্তিনিকেতনের সঙ্গে আপামর বাঙালির আবেগ জড়িয়ে। কোনওদিন যিনি শান্তিনিকেতনে পা রাখেননি, সেই বাঙালিও শান্তিনিকেতন নামে মোহিত হন। মনে মনে কল্পনার রঙে নিজের মতো করেই এঁকে নেন রবি ঠাকুরের শান্তিনিকেতনের ছবিখানি। সেই শান্তিনিকেতনের এই সম্মান নিঃসন্দেহে প্রত্যেক বাঙালির কাছে গর্বের। এই ঘোষণার পরই উৎসবের আবহ শান্তিনিকেতনে।
এই ঘোষণার পরই বিভিন্ন সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে শুভেচ্ছাবার্তা উপচে পড়ছে। এ রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের তরফে তাদের অফিশিয়াল এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছে ‘বাঙালির গর্বের মুহূর্ত।’ বিশ্বভারতীতে সোমবার আনন্দ উৎসব পালন হবে। সন্ধ্যা ৬টায় উপাসনা গৃহে তা পালিত হবে।
ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের উপদেষ্টা সংস্থা ইসিওএমওএস (ICOMOS) এই বিভাগে শান্তিনিকেতনের নাম প্রস্তাব করে। কেন্দ্রীয় তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী জি কিষেণ রেড্ডি নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছুদিন আগে তা জানিয়েছিলেন। এবার স্বীকৃতির সিলমোহর পড়ল।
🔴BREAKING!
New inscription on the @UNESCO #WorldHeritage List: Santiniketan, #India 🇮🇳. Congratulations! 👏👏
➡️ https://t.co/69Xvi4BtYv #45WHC pic.twitter.com/6RAVmNGXXq
— UNESCO 🏛️ #Education #Sciences #Culture 🇺🇳 (@UNESCO) September 17, 2023
বিশ্বের বিভিন্ন স্থান, যার সাংস্কৃতিক-প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য সারা বিশ্বে বন্দিত হয়, ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তালিকায় স্থান পায় সেইসমস্ত জায়গা। ২০২১ সালে ইসিওএমওএসের এক প্রতিনিধি দল এসেছিল শান্তিনিকেতনে। বিশ্বভারতীও ঘুরে দেখেছিল তারা। এই সফরের পর তারা একটি রিপোর্টও তৈরি করে। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই ইউনেস্কোর এই অন্তর্ভূক্তি বলে জানা গিয়েছে।