কলকাতা: কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীদের সঙ্গে একদিন আগেই বৈঠকে বসেছিলেন রাজ্যের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। কলকাতায় বসেছিল সেই বৈঠক। এদিকে শিক্ষামন্ত্রীর বৈঠকে যোগ দেওয়ায় সেই সমস্ত উপচার্যদের বেনজির ভাষায় আক্রমণ শানাতে দেখা যায় বাংলার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে। বৈঠকে যোগ দেওয়া উপাচার্যদের ‘গোলাম’ বলেও কটাক্ষ করেন। ব্রাত্যর এ মন্তব্যে চাঁচাছোলা ভাষায় নিন্দা করতে দেখা গিয়েছে ধর্মেন্দ্র প্রধানকে। দিয়েছেন ‘শিক্ষার’ পাঠ। পাল্টা দিয়েছেন ব্রাত্যও। তা নিয়েই জোর তরজা বঙ্গ রাজনীতির আঙিনায়।
বাংলার শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষিত ব্যক্তি হবেন, এমনই মনে করেন ধর্মেন্দ্র। বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের যিনি শিক্ষামন্ত্রী তিনি তো পড়াশোনা জানা ব্যক্তি হবেন। ওরকম একটা বড় পদে বসে তাঁর তরফে এ ধরনের মন্তব্য করা সাজে না। এটা বাংলার সভ্যতা ও একইসঙ্গে সংস্কৃতিরও অপমান। উপাচার্যদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা, বৈঠকে দ্বিচারিতার কোনও জায়গা নেই।”
ধর্মেন্দ্রের এ মন্তব্যের পরেই পাল্টা সুর চড়িয়েছেন ব্রাত্য বসু। খোঁচা দিয়ে বলেন, “ধর্মেন্দ্র প্রধানের থেকে ওঁর ডিগ্রি জানার চেষ্টা করব। উনি কতদূর শিক্ষিত তা জানার চেষ্টা করব। চেষ্টা করব অন্তত প্রাইভেটে দিয়েও যাতে ওই ডিগ্রি আমি একদিন অর্জন করতে পারি। উনি কতদূর শিক্ষিত আমি জানি না তো।” প্রসঙ্গত, বাংলার বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগে এবার মাঠে নামতে চলেছে খোদ সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম নির্দেশে তত্ত্বাবধানে তৈরি হতে চলেছে সার্চ কমিটি। সেইদিনে এই দুই শিক্ষামন্ত্রীর এই তরজা রাজনৈতিকভাবে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।