কলকাতা: শুক্রবার রাতে রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। শেষ পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, রাত ৮টা ২০ মিনিটে কলকাতা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছাবেন তিনি। অমিত শাহর কলকাতায় আসার বিষয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে (Sukanta Majumdar) প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, শুক্রবার রাতে ৬, মুরলীধর সেন লেনের দলীয় কার্যালয়ে রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে একটি বৈঠকও করবেন অমিত শাহ। এদিন দুপুরে বিজেপির রাজ্য দফতরের আশপাশের এলাকার নিরাপত্তার ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে আসেন সিআরপিএফ-এর আধিকারিকরা। এদিন রাতের ‘শাহী বৈঠকে’ কী কী নিয়ে আলোচনা হবে, সেই দিকেই নজর রাজ্য রাজনীতির পর্যবেক্ষকদের।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিককালে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের অন্দরে বার বার দ্বন্দ্বের ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। যদিও সুকান্ত মজুমদার এমন কোনও দ্বন্দ্ব মানতে নারাজ। তাঁর সাফ কথা, “সমন্বয় বরাবরই রয়েছে। ঐক্য বা সমন্বয়ের কোনও অভাব নেই। বাইরে থেকে খালি চোখে হয়ত অনেক সময় তা দেখা যায় না। আপনাদের মনে হচ্ছে, কেউ কারও বিরোধিতায় বিবৃতি দিয়েছেন। কিন্তু প্রত্যেকে নিজের নিজের বিবৃতি দিয়েছেন। তবে যদি মনে হয় কোনও বিবৃতি পরস্পরবিরোধী হয়ে যাচ্ছে, তাহলে সেই বিবৃতি থেকে বিরত থাকা উচিত।”
প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক অতীতে বিজেপির প্রথম সারির নেতাদের মধ্যে বারংবার দ্বন্দ্বের ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। কিছুদিন আগেই হাজরায় বিজেপির এক সভা থেকে কারও নাম না করে মর্নিং ওয়াকে গিয়ে মিডিয়াকে বক্তব্য দেওয়া নিয়ে খোঁচা দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই নিয়ে ইতিমধ্যেই বেশ অস্বস্তিতে রয়েছে বঙ্গ বিজেপি শিবির। প্রকাশ্য সভা থেকে ওই খোঁচায় অবশ্য সরাসরি কারও নাম করেননি শুভেন্দু। তবে বিষয়টি নিয়ে তির্যক মন্তব্য করার সুযোগ হাতছাড়া করছে না তৃণমূল শিবির। এদিকে শুভেন্দু অধিকারী ডিসেম্বর মাসে যে তিনটি তারিখের কথা উল্লেখ করেছিলেন, সেগুলির মধ্যে দুটি দিন ইতিমধ্য়েই অতিক্রান্ত। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেই অর্থে বড় কোনও ঘটনা ঘটেনি। সব মিলিয়ে এবার শুক্রবার রাতে বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে রাজ্যের নেতাদের সঙ্গে অমিত শাহর বৈঠকে কোন কোন ইস্যু উঠে আসে, সেই দিকেই নজর রাজ্য রাজনীতির কারবারিদের।