কলকাতা: সন্দেশখালিতে অভিযানে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছিলেন ইডির অফিসাররা। তিন জন ইডি অফিসার গুরুতর জখম হয়েছিলেন। কিন্তু যাকে ঘিরে এই ঘটনার সূত্রপাত, সেই তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখ এখনও অধরা। তার উপর গতকাল আবার পুরুলিয়া আবারও জনরোষের মধ্যে পড়ে আক্রান্ত হয়েছেন গঙ্গাসাগর যেতে আসা উত্তর প্রদেশের তিন জন সাধু। রাজ্যের সামগ্রিক আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে বার বার প্রশ্ন উঠছে। নাগাড়ে তুলোধনা করছে বিরোধীরা। এবার রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে কড়া সমালোচনার সুর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের গলায়। আজই কলকাতায় এসেছেন তিনি। আর বিমানবন্দরের বাইরে পা রেখেই সাংবাদিকদের প্রশ্নে কার্যত তুলোধনা করলেন রাজ্য সরকারকে। বললেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।’
কলকাতায় পা রেখেই রাজ্য সরকারকে পুরোপুরি অল আউট অ্যাটাকের মুডে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও বিঁধতে ছাড়লেন না। বললেন, “দুর্নীতিগ্রস্তদের আশ্রয় দেয় পশ্চিমবঙ্গের সরকার। নিজের মন্ত্রী-সাংসদ-বিধায়কদের উপর কি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই? তিনি কি লুঠের জন্য ছাড় দিয়ে রেখেছেন? নাকি তাঁর কথা তাঁর দলের লোকেরা শোনে না? লুঠের বিরুদ্ধে তদন্ত হলে, তদন্তকারী অফিসারদের উপর তাঁর দলের গুন্ডা, নেতারা আক্রমণ চালায়। এটা গোটা দেশে আর কোথাও হয় না, শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া।”
সম্প্রতি সন্দেশখালিতে ইডির উপর হামলার ঘটনা নিয়েও রাজ্যকে কড়া ভাষায় বিঁধলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। অনুরাগ ঠাকুরের বক্তব্য, ‘আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থার এক ভয়ঙ্কর সমস্যা রয়েছে এখানে। বার বার তার উদাহরণ দেখা যাচ্ছে। যদি দুর্নীতিগ্রস্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত হয়, তাহলে ইডির টিমের উপরেও হামলা হচ্ছে। মারধর করা হচ্ছে। মাথা ফাটানো হচ্ছে।’ দুর্নীতি ও কাটমানির ইস্যুতেও রাজ্যের শাসক দল তথা রাজ্য সরকারকে একহাত নিলেন অনুরাগ। সরাসরি রাজ্য সরকারকে নিশানা করে বললেন, ‘মানুষের পরিষেবার জন্য যে টাকা আসে, সেই টাকার পাই পাই হজম করে নেওয়ার বন্দোবস্ত করা হয়। এখানকার নেতা ও সরকার কাটমানির জন্য বিখ্যাত হয়ে গিয়েছে। গরিবের উন্নয়নের জন্য কেন্দ্রের থেকে যে টাকা আসে, সেখান থেকেও কমিশন খাওয়ার সবরকম চেষ্টা করা হয়। দুর্নীতি চরম সীমায় পৌঁছে গিয়েছে।’
অনুরাগ ঠাকুরের এই আক্রমণের পাল্টা দিয়েছেন রাজ্যের নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজাও। রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি নিয়ে যে মন্তব্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করেছেন, তার বিরোধিতা করেন রাজ্যের মন্ত্রী। অনুরাগ ঠাকুরের ‘গোলি মারো’ মন্তব্যের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে শশী পাঁজা বলেন, ‘আপনি ঘৃণার বক্তব্য রাখেন। আপনি আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন করছেন?’
কলকাতা: সন্দেশখালিতে অভিযানে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছিলেন ইডির অফিসাররা। তিন জন ইডি অফিসার গুরুতর জখম হয়েছিলেন। কিন্তু যাকে ঘিরে এই ঘটনার সূত্রপাত, সেই তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখ এখনও অধরা। তার উপর গতকাল আবার পুরুলিয়া আবারও জনরোষের মধ্যে পড়ে আক্রান্ত হয়েছেন গঙ্গাসাগর যেতে আসা উত্তর প্রদেশের তিন জন সাধু। রাজ্যের সামগ্রিক আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে বার বার প্রশ্ন উঠছে। নাগাড়ে তুলোধনা করছে বিরোধীরা। এবার রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে কড়া সমালোচনার সুর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের গলায়। আজই কলকাতায় এসেছেন তিনি। আর বিমানবন্দরের বাইরে পা রেখেই সাংবাদিকদের প্রশ্নে কার্যত তুলোধনা করলেন রাজ্য সরকারকে। বললেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।’
কলকাতায় পা রেখেই রাজ্য সরকারকে পুরোপুরি অল আউট অ্যাটাকের মুডে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও বিঁধতে ছাড়লেন না। বললেন, “দুর্নীতিগ্রস্তদের আশ্রয় দেয় পশ্চিমবঙ্গের সরকার। নিজের মন্ত্রী-সাংসদ-বিধায়কদের উপর কি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই? তিনি কি লুঠের জন্য ছাড় দিয়ে রেখেছেন? নাকি তাঁর কথা তাঁর দলের লোকেরা শোনে না? লুঠের বিরুদ্ধে তদন্ত হলে, তদন্তকারী অফিসারদের উপর তাঁর দলের গুন্ডা, নেতারা আক্রমণ চালায়। এটা গোটা দেশে আর কোথাও হয় না, শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া।”
সম্প্রতি সন্দেশখালিতে ইডির উপর হামলার ঘটনা নিয়েও রাজ্যকে কড়া ভাষায় বিঁধলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। অনুরাগ ঠাকুরের বক্তব্য, ‘আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থার এক ভয়ঙ্কর সমস্যা রয়েছে এখানে। বার বার তার উদাহরণ দেখা যাচ্ছে। যদি দুর্নীতিগ্রস্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত হয়, তাহলে ইডির টিমের উপরেও হামলা হচ্ছে। মারধর করা হচ্ছে। মাথা ফাটানো হচ্ছে।’ দুর্নীতি ও কাটমানির ইস্যুতেও রাজ্যের শাসক দল তথা রাজ্য সরকারকে একহাত নিলেন অনুরাগ। সরাসরি রাজ্য সরকারকে নিশানা করে বললেন, ‘মানুষের পরিষেবার জন্য যে টাকা আসে, সেই টাকার পাই পাই হজম করে নেওয়ার বন্দোবস্ত করা হয়। এখানকার নেতা ও সরকার কাটমানির জন্য বিখ্যাত হয়ে গিয়েছে। গরিবের উন্নয়নের জন্য কেন্দ্রের থেকে যে টাকা আসে, সেখান থেকেও কমিশন খাওয়ার সবরকম চেষ্টা করা হয়। দুর্নীতি চরম সীমায় পৌঁছে গিয়েছে।’
অনুরাগ ঠাকুরের এই আক্রমণের পাল্টা দিয়েছেন রাজ্যের নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজাও। রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি নিয়ে যে মন্তব্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করেছেন, তার বিরোধিতা করেন রাজ্যের মন্ত্রী। অনুরাগ ঠাকুরের ‘গোলি মারো’ মন্তব্যের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে শশী পাঁজা বলেন, ‘আপনি ঘৃণার বক্তব্য রাখেন। আপনি আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন করছেন?’