Upen Biswas: ‘নরেন্দ্র মোদীও কিছু করতে পারবেন না’, সিবিআই তদন্ত প্রসঙ্গে জানালেন উপেন বিশ্বাস

TV9 Bangla Digital | Edited By: অংশুমান গোস্বামী

Sep 04, 2022 | 11:44 PM

CBI Investigation: উপেন বলেছেন, “আদালতের নির্দেশে যখন কোনও তদন্ত হয় তখন আদালত বেশ কিছু নির্দেশনামা সিবিআইকে দিয়ে থাকে। আমার ধারণা এখান থেকে চোরদের বেরিয়ে যাওয়ার কোনও উপায় নেই।” 

Follow Us

কলকাতা: আদালতের নির্দেশে রাজ্যে বিভিন্ন দুর্নীতির তদন্তে নেমেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। ইতিমধ্যেই সেই মামলায় সিবিআই গ্রেফতার করেছে হাই প্রোফইল ব্যক্তিত্বকে। পাশাপাশি সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে রাজ্যের শাসকদল। বিজেপি-র কোনও নেতার মুখে সিবিআইয়ের ভূমিকার সমালোচনা শোনা গিয়েছে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সিবিআই-কে প্রভাবিত করা হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁদের। রাজ্য রাজনীতির এই আবহেই ‘কথাবার্তা’ অনুষ্ঠানে টিভি৯ বাংলার ম্যানেজিং ডিরেক্টর অমৃতাংশু ভট্টাচার্যের মুখোমুখি হয়েছিলেন উপেন বিশ্বাস। সেই উপেন বিশ্বাস যিনি রাজ্যবাসীর কাছে সামনে এনেছিলেন ‘সৎ রঞ্জন’কে। উপেন ২০১১ সালে তৃণমূলের টিকিটে বাগদা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জিতে মন্ত্রী হয়েছিলেন। তার আগে সিবিআইয়ের উচ্চপদে আসীন ছিলেন তিনি। পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলার তদন্তভার ছিল তাঁর হাতে। তাঁর তদন্তের জেরেই লালুপ্রসাদ যাদবকে জেলের সাজা ভোগ করতে হয়েছে। ‘কথাবার্তা’ অনুষ্ঠানে সিবিআই তদন্তের প্রক্রিয়া এবং দুর্নীতির তদন্তে কোনও গোয়েন্দা সংস্থা কী ভাবে কাজ করে তা নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের খোলামেলা জবাব দিয়েছেন উপেন। সেখানেই তিনি সাফ জানিয়েছেন, আদালতের নির্দেশে হওয়া কোনও মামলার তদন্ত স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীও চাইলে প্রভাবিত করতে পারবেন না।

উপেন বলেছেন, “আদালতের নির্দেশে যখন কোনও তদন্ত হয় তখন আদালত বেশ কিছু নির্দেশনামা সিবিআইকে দিয়ে থাকে। আমার ধারণা এখান থেকে চোরদের বেরিয়ে যাওয়ার কোনও উপায় নেই।”  তখনই টিভি৯ বাংলার ম্যানেজিং এডিটর সিবিআইয়ের উপর বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অনাস্থার প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেন। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি দিলীপ ঘোষের সিবিআই নিয়ে সাম্প্রতিক মন্তব্যের প্রসঙ্গেও উঠে আসে। সেই প্রসঙ্গে উপেন বলেন, “দিলীপ ঘোষ খুবই অবান্তর কথা বলেছেন। উনার কাছে কী প্রমাণ আছে? উনি কি তদন্ত করেছেন? আদালত যেখানে পর্যবেক্ষণ করছে, সেখানে উনি কে? বলার তাহলে উনি আদালতে যেতে পারেন।” এর পরই তিনি বলেন, “আদালতের নির্দেশে তদন্ত হচ্ছে। নরেন্দ্র মোদী চাইলেও এখানে কিছু করতে পারবেন না।” তিনি আরও বলেছেন, “এখানে যে সেটিংয়ের কথা বলে, তাও সম্ভব নয়। তাহলে তো বিচারপতিকে সেটিং করতে হয়। সেটা সম্ভব নয়। আমি বলব এই যে তদন্ত হচ্ছে, এটা একটা ল্যান্ডমার্ক ইনভেস্টিগেশন হচ্ছ।”

এর পরই তদন্তের সময়সীমার বিষয়টি নিয়ে নিজের কর্মজীবনের পর্যবেক্ষণের কথা জানান। বলেন, “তদন্ত ইনস্ট্যান্ট কফি হতে পারে না। তা ধাপে ধাপে হয়।” তদন্তের সময়ের ব্যাপারে বলেছেন, “দুর্নীতির অনেকটা মাকড়সার জালের মতো। মাকড়সাকে যদি গডফাদার ভাবেন, তাকে জড়িয়ে রয়েছে জাল। সেই জালকে বিভিন্ন ডট ভাবলে, ওই চন্দন মণ্ডল কেবলই স্মল ডট। এই জালকে চাইলেই রাতারাতি ছাড়াতে পারবেন না।” তদন্ত নিয়ে তিনি বলেছেন, “দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতরা যতই চালাকি করুক। কিছু না কিছু তথ্য প্রমাণ কাগজ কলমে রেখে যান তাঁরা। তা দিয়েই তদন্তের জাল গুটিয়ে আনে সিবিআই।”

কলকাতা: আদালতের নির্দেশে রাজ্যে বিভিন্ন দুর্নীতির তদন্তে নেমেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। ইতিমধ্যেই সেই মামলায় সিবিআই গ্রেফতার করেছে হাই প্রোফইল ব্যক্তিত্বকে। পাশাপাশি সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে রাজ্যের শাসকদল। বিজেপি-র কোনও নেতার মুখে সিবিআইয়ের ভূমিকার সমালোচনা শোনা গিয়েছে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সিবিআই-কে প্রভাবিত করা হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁদের। রাজ্য রাজনীতির এই আবহেই ‘কথাবার্তা’ অনুষ্ঠানে টিভি৯ বাংলার ম্যানেজিং ডিরেক্টর অমৃতাংশু ভট্টাচার্যের মুখোমুখি হয়েছিলেন উপেন বিশ্বাস। সেই উপেন বিশ্বাস যিনি রাজ্যবাসীর কাছে সামনে এনেছিলেন ‘সৎ রঞ্জন’কে। উপেন ২০১১ সালে তৃণমূলের টিকিটে বাগদা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জিতে মন্ত্রী হয়েছিলেন। তার আগে সিবিআইয়ের উচ্চপদে আসীন ছিলেন তিনি। পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলার তদন্তভার ছিল তাঁর হাতে। তাঁর তদন্তের জেরেই লালুপ্রসাদ যাদবকে জেলের সাজা ভোগ করতে হয়েছে। ‘কথাবার্তা’ অনুষ্ঠানে সিবিআই তদন্তের প্রক্রিয়া এবং দুর্নীতির তদন্তে কোনও গোয়েন্দা সংস্থা কী ভাবে কাজ করে তা নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের খোলামেলা জবাব দিয়েছেন উপেন। সেখানেই তিনি সাফ জানিয়েছেন, আদালতের নির্দেশে হওয়া কোনও মামলার তদন্ত স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীও চাইলে প্রভাবিত করতে পারবেন না।

উপেন বলেছেন, “আদালতের নির্দেশে যখন কোনও তদন্ত হয় তখন আদালত বেশ কিছু নির্দেশনামা সিবিআইকে দিয়ে থাকে। আমার ধারণা এখান থেকে চোরদের বেরিয়ে যাওয়ার কোনও উপায় নেই।”  তখনই টিভি৯ বাংলার ম্যানেজিং এডিটর সিবিআইয়ের উপর বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অনাস্থার প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেন। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি দিলীপ ঘোষের সিবিআই নিয়ে সাম্প্রতিক মন্তব্যের প্রসঙ্গেও উঠে আসে। সেই প্রসঙ্গে উপেন বলেন, “দিলীপ ঘোষ খুবই অবান্তর কথা বলেছেন। উনার কাছে কী প্রমাণ আছে? উনি কি তদন্ত করেছেন? আদালত যেখানে পর্যবেক্ষণ করছে, সেখানে উনি কে? বলার তাহলে উনি আদালতে যেতে পারেন।” এর পরই তিনি বলেন, “আদালতের নির্দেশে তদন্ত হচ্ছে। নরেন্দ্র মোদী চাইলেও এখানে কিছু করতে পারবেন না।” তিনি আরও বলেছেন, “এখানে যে সেটিংয়ের কথা বলে, তাও সম্ভব নয়। তাহলে তো বিচারপতিকে সেটিং করতে হয়। সেটা সম্ভব নয়। আমি বলব এই যে তদন্ত হচ্ছে, এটা একটা ল্যান্ডমার্ক ইনভেস্টিগেশন হচ্ছ।”

এর পরই তদন্তের সময়সীমার বিষয়টি নিয়ে নিজের কর্মজীবনের পর্যবেক্ষণের কথা জানান। বলেন, “তদন্ত ইনস্ট্যান্ট কফি হতে পারে না। তা ধাপে ধাপে হয়।” তদন্তের সময়ের ব্যাপারে বলেছেন, “দুর্নীতির অনেকটা মাকড়সার জালের মতো। মাকড়সাকে যদি গডফাদার ভাবেন, তাকে জড়িয়ে রয়েছে জাল। সেই জালকে বিভিন্ন ডট ভাবলে, ওই চন্দন মণ্ডল কেবলই স্মল ডট। এই জালকে চাইলেই রাতারাতি ছাড়াতে পারবেন না।” তদন্ত নিয়ে তিনি বলেছেন, “দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতরা যতই চালাকি করুক। কিছু না কিছু তথ্য প্রমাণ কাগজ কলমে রেখে যান তাঁরা। তা দিয়েই তদন্তের জাল গুটিয়ে আনে সিবিআই।”

Next Article