কলকাতা : ফের মামলার গেরোয় আটকে গেল উচ্চ প্রাথমিকের (Upper Primary) নিয়োগ। উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে অভিযোগের পাহাড় জমা হয়েছে। সব অভিযোগের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কোনও নিয়োগ করা যাবে না বলে জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। অভিযোগের নিষ্পত্তির জন্য আরও ১৫ সপ্তাহ সময় বরাদ্দ করল আদালত। তার মধ্যে কোনও নিয়োগ হবে না। ফলে এ বছরেও আর নিয়োগের আশা রইল না চাকরি প্রার্থীদের। ১৫ সপ্তাহ পর ফের এই মামলার শুনানি রয়েছে।
এটাই প্রথমবার নয়। মামলার জটে বারবার আটকে গিয়েছে উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া। গত জুলাই মাস থেকে চলছে এই মামলার শুনানি। বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চে আজ ছিল শুনানি। প্রথমে নম্বর সহ মেধা তালিকা প্রকাশ করার দাবি জানিয়েছিলেন চাকরি প্রার্থীরা। আদালতের নির্দেশে স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে সে ভাবেই নম্বর সহ মেধা তালিকা প্রকাশ করা হয়। কিন্তু তালিকা দেখে চমকে যান অনেক প্রার্থী। তালিকার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
পরে আদালত কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছিল যাতে সব অভিযোগ শোনা হয়। শিক্ষা দফতরের সহ অধিকর্তাকে এই অভিযোগ শোনার ভার দেওয়া হয়। সেই প্রক্রিয়া আপাতত জারি আছে। তবে আজ শুনানিতে স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে যে, অভিযোগ সংখ্যায় এত বেশি যে তা শোনা এক-দু জন আধিকারিকের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। অন্তত ২৫ থেকে ৩০ হাজার অভিযোগ জমা পড়েছে বলে জানিয়েছে কমিশন।
আইনজীবী বিক্রম বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন বলেন, স্কুল সার্ভিস কমিশনের হাতে ২৫ থেকে ৩০ হাজার অভিযোগ জমা পড়েছে। এর মধ্যে কিছু অভিযোগের শুনানি হয়েছে। তবে বেশির ভাগই বাকি। এমতাবস্থায় অভিযোগের শুনানির জন্য আরও কিছুটা সময় চেয়ে আদালতে আবেদন জানিয়েছিল কমিশন। আজ সব পক্ষের কথা শুনে আদালত কমিশনকে আরও তিন ১৫ সপ্তাহ সময় দিয়েছে। জানা গিয়েছে, শিক্ষা দফতরের সহ অধিকর্তা পদে রয়েছেন দু জন। তাই তাঁদের পক্ষে সব অভিযোগ শোনা সম্ভব হচ্ছে না। এর ফলেই সময় বেশি লাগছে।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে হওয়া পরীক্ষায় উচ্চ প্রাথমিকে মোট শূন্যপদের সংখ্যা ছিল ১৪ হাজার ৩৯৯। এই সংখ্যক ফাঁকা আসনে ইন্টারভিউর জন্য ডাকা হয়েছিল মোট ১৫ হাজার ৪০৬ জনকে। গত ৪ অগস্ট সেই ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া শেষ হয়। যদিও এসএসসি সূত্রে খবর, তথ্যগত অসঙ্গতির কারণে ৬০০-র বেশি প্রার্থীর আবেদন বাতিল করা হয়। মোট ১৫ হাজার ৪০৬ জনকে ইন্টারভিউ দিতে ডাকা হয়েছিল। যার মধ্যে ১২০০-র বেশি প্রার্থী অনুপস্থিত ছিলেন বলে খবর। অন্যদিকে, আদালতের নির্দেশ মেনে নিয়োগ প্রক্রিয়া সংক্রান্ত ২৫ হাজারের বেশি অভিযোগ জমা পড়েছিল কমিশনের দফতরে।
আরও পড়ুন: Murshidabad: এখনও কাটল না জোটের ‘জট’! পুরভোটে হাত-কাস্তের লড়াই নিয়ে ক্রমশ বাড়ছে জল্পনা