কলকাতা: বাজার আগুন, মধ্যবিত্তের নাভিঃশ্বাস ওঠার জোগাড়। মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সাত দিন অন্তর বৈঠক করার নির্দেশ দিয়েছিলেন আগেই। নবান্নের সভাঘরে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকের সাত দিন পরে আট দিনের মাথায় মুখ্যসচিব বিপি গোপালিকার নেতৃত্বে মঙ্গলবার সেই প্রথম বৈঠক । অর্থ দফতর, কৃষি দফতর, কৃষি বিপনন দফতর, হর্টি কালচার, পঞ্চায়েত সহ ১১ টি দফতরকে এই বৈঠকে ডাকা হয়েছে । থাকবেন প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি ছাড়াও ডিজি , এডিজি আইন শৃঙ্খলা, ইবি সহ কলকাতা পুরসভার কমিশনার । মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছিলেন ১০ দিনের মধ্যে আনাজপাতির দাম কমাতে হবে এবং সাত দিন অন্তর এই দফতরগুলিকে নিয়ে বৈঠক করতে হবে। কিন্তু আদৌ কি পরিস্থিতির কোনও পরিবর্তন হল, সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখতেই এদিনের বৈঠক।
প্রসঙ্গত, আকাশছোঁয়া সবজির দাম নিয়ন্ত্রণে পুলিশকে কড়া নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মোতাবেক বাজারগুলোতে টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা অভিযানও শুরু করে। কিন্তু কার্যত সব ক্ষেত্রেই একই অভিযোগ। সবজিওয়ালারা যাঁদের কাছ থেকে সবজি কিনছেন, অর্থাৎ পাইকারি ব্যবসায়ীরা বেশি দামে সবজি বিক্রি করছেন। ফলে তাঁদেরকও বেশি দামেই আমজনতার কাছে সবজি বিক্রি করতে হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে অভিযানে নেমে টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা সবজি ব্যবসায়ীদের কড়া নির্দেশিকাও দেন।
মঙ্গলবার সকালে টাস্কফোর্সের অভিযান বাগুইআটি পুরাতন বাজারে। সকালে বাগুইআটি বাজারে এসে সবজির ঊর্ধ্বমুখী দাম নিয়ে কার্যত বিক্রেতাদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন টাস্কফোর্সের সদস্যরা। ক্রেতাদের অভিযোগ ডাক পড়ছে সদস্য আসলে দাম কমে যায় আবার তাঁরা চলে গেলেই দাম বেড়ে যায়। এক ক্রেতার দাবি সব থেকে আগে বাগুইআটি বাজারে দাম বাড়ে। বিক্রেতাদের দাবি, তাঁরা কোথা থেকে জিনিস কিনবে তার নির্ধারণ করে দেওয়া হোক, তাহলেই তাঁরা সঠিক দামে মাল দেখতে পারবে। টাস্কফোর্সের সদস্য রবীন্দ্রনাথ কোলের দাবি, বাগুইহাটি বাজারে সবজির দামে বেশি রয়েছে। অন্যান্য বাজারের তুলনায়। মনিটরিং করার প্রয়োজন রয়েছে। এরপরেও যদি দাম না কমে তাহলে স্থানীয় পুলিশ ব্যবস্থা নেবে। তবে টাক্স ফোর্স ও এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ কমেছে সবজির দাম।