কলকাতা: মাধ্যমিক (Madhyamik Exam) শুরুর প্রথমদিনই প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগকে কেন্দ্র করে দিনভর তপ্ত রইল শিক্ষা মহল। এদিনই ছিল বাংলার পরীক্ষা। পরীক্ষা শুরুর কিছু সময়ের মধ্যেই হোয়াটসঅ্যাপে ঘুরতে থাকে সেই প্রশ্ন। প্রশ্নপত্রে থাকা কিউ আর কোড দিয়ে দ্রুত দুই ছাত্রকে চিহ্নিত করে পর্ষদ। সিদ্ধান্ত হয়েছে এই বছর আর পরীক্ষায় বসতে পারবে না তারা। এদিকে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে লেগেছে রাজনীতির রং। শিক্ষামন্ত্রীর ব্রাত্য বসুর ইস্তফার দাবিও উঠেছে। যা নিয়ে তপ্ত রাজনৈতিক মহল। মাধ্যমিকের দ্বিতীয় দিনই এই ব্রাত্যর পদত্যাগ চেয়ে পথে নামতে চলেছে কংগ্রেসের যুব দল।
ইতিমধ্যেই বিবৃতি দিয়ে তাঁদের প্রতিবাদের কথা জানানো হয়েছে হাত শিবিরের তরফে। তাতেই রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা বেহাল দশা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেওয়া হয়েছে। লেখা হয়েছে, রাজ্যের শিক্ষা দফতর যোগ্য চাকরি প্রার্থীদের বঞ্চিত করে রেখে দেয় বছরের পর বছর। মাধ্যমিকের মতো জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা সুষ্ঠু ভাবে নিতে পারে না। প্রতি বছর প্রথম থেকেই প্রশ্ন ফাঁস হয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। এবারও ঘটেছে।
কংগ্রেসের দাবি, শিক্ষামন্ত্রীর পদে থাকার আর এক মুহূর্ত অধিকার নেই। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দ্রুত ইস্তফা দিন শিক্ষা মন্ত্রী। এই দাবিকে সামনে রেখেই শনিবার আন্দোলনে নামছে বেঙ্গল কংগ্রেস আই এন টি ইউ সি সেবাদল ও বেঙ্গল ইয়ুথ কংগ্রেস কমিটি। এদিকে মাধ্যমিক পরীক্ষার কারণেই মাইক ব্যবহারে রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। তা মাথায় রেখেই মাইক ছাড়াই মৌন প্রতিবাদের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে হাত শিবিরের তরফে।
প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে এর আগেই সুর চড়িয়েছে বিজেপি। টুইট করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। টুইটে লিখেছেন, ‘মমতার সরকারের আমলে প্রশ্ন ফাঁস আর কোনও দুর্ঘটনা নয়, যেন একটা প্রশাসনিক প্রটোকলে পরিণত হয়েছে। তৃণমূল রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে।’ পাল্টা টুইট করেছেন ব্রাত্যও। যে দুই ছাত্র ছবি তুলে প্রশ্ন বাইরে বের করেছেন, তাদের সুকান্ত মজুমদারের স্নেহধন্য বলে খোঁচাও দিয়েছেন। বিরোধীদের কড়া আক্রমণ করেছেন রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেনও। বলেন, ব্যাপম কেলেঙ্কারির সময় এদের হুঁশ ছিল না? একটা ঘটনা ঘটতেই পারে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ খতিয়ে দেখেছে। ব্যবস্থা নিয়েছে পর্ষদ। পাল্টা আক্রমণ শানিয়ে প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক আশুতোষ চট্টোপাধ্যায় বলেন, নিয়োগ দুর্নীতি তো এইভাবেই হয়েছে। সরকারের কোনও হুঁশ নেই। কোথায় কীভাবে সিকিউরিটির প্রয়োজন তা বিবেচনা না করে নেতা-মন্ত্রীর বডি সিকিউর করতে ব্যস্ত রাজ্য।