কলকাতা: ১৫ জুন পর্যন্ত জমা দেওয়া যাবে মনোনয়নপত্র। এমনই জানিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় বাড়ানো নিয়েও কোনও সিদ্ধান্ত এখনও নেওয়া হয়নি। ফলে হাতে আর মাত্র দু’দিন। পঞ্চায়েতের তিন স্তরে ৭৮ হাজার আসনে তৃণমূল বাকি দুদিনে মনোনয়ন জমা দেবে কীভাবে? এই প্রশ্নই ঘুরছে বিরোধী শিবিরে। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে অন্য দলকে মনোনয়ন জমা দিতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু এবার যে উলটপুরাণ! জেলায় জেলায় মনোনয়নের নিরিখে তৃণমূল অনেকটাই পিছিয়ে।
কীভাবে শাসক শিবির সবটা সামলাবে মাত্র দুদিনে? তবে কি শাসক দলের জন্য অন্য কোনও পথ গোপনে তৈরি হয়েছে? এই নিয়েই আলোচনা চলছে বিরোধী শিবিরে।
বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলছেন, “আমরাও তো তাই ভাবছি। এটা ঠিক যে তৃণমূল নিজের দলের মধ্যে মারামারির ভয়ে তালিকা প্রকাশ করতে পারছে না। তবে এই দুদিনে কী করে এত আসনে প্রার্থী দেবে? একজন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা দিতে ১২ থেকে ১৫ মিনিট সময় লাগে।”
বর্ষীয়ান বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীর মতে, তৃণমূল হয়ত ভেবেছিল অন্যদের আগে ঘর গুছিয়ে নেবে। তিনি বলেন, “তৃণমূল ভেবেছিল চট করে ঘোষণা হবে, পট করে মনোনয়ন জমা দেবে। বাকিরা পারবে না। তৃণমূল ঘর গুছিয়ে নেবে। এবার উলটপুরাণ হয়ে গিয়েছে। ৩০০ কোটি টাকা খরচ করে অভিষেক যাত্রা করলেন, তাও প্রার্থী নেই!”
কেউ কেউ এমন অভিযোগও করছেন যে তৃণমূলের জেলার নেতাদের কাছে সরকারি কর্মীরা মনোনয়ন পত্র পাঠিয়ে দিচ্ছেন। তাই তৃণমূলের কোনও তাড়া নেই। তবে প্রশ্ন একটাই, সব আসনে প্রার্থী দিতে পারবে তো তৃণমূল?