কলকাতা: মনোনয়ন ঘিরে চোপড়ায় হিংসা গড়াল আদালতে। হাইকোর্টে কংগ্রেসের তরফে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছে আদালত। শুক্রবারই এই মামলার শুনানি। মনোনয়ন ঘিরে বৃহস্পতিবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া। বৃহস্পতিবার ছিল বাম কংগ্রেস জোটের মনোনয়নের দিন। রাখালবাড়ি এলাকা রীতিমতো অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়। অভিযোগ, ওই এলাকায় আগে থেকেই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বাঁশ, লাঠি, লোহার রড নিয়ে দাঁড়িয়েছিল। হেঁটেই মনোনয়ন জমা দিতে যাচ্ছিলেন জোট প্রার্থীরা। অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা তাঁদের পথ আটকায়। তাঁদের মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দেয়।
প্রতিরোধ গড়লে শুরু হয় সংঘর্ষ। সেই সময়েই ভিড়ের মধ্যে থেকে নির্বিচারের গুলি চলে বলে অভিযোগ। ৩ জন জোট প্রার্থী গুলিবিদ্ধ হন বলে খবর। কারোর পেটে, কারোর পিঠে গুলি লাগে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁদের উদ্ধার করে চোপড়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হলে, চিকিৎসকরা দু’জনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
অভিযোগ, সেই সংঘর্ষের সময়েও এলাকায় কোনও পুলিশ লক্ষ্য করা যায়নি। ঘটনার পরই প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। কংগ্রেস কর্মীদের অপহরণেরও অভিযোগ তোলেন তিনি। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, “এটা খুনি তৃণমূলের আক্রমণ। এর সূচনা আগেই হয়েছে। এই চোপড়াতেই দশ জন কংগ্রেস নেতাকে অপহরণ করা হয়। একটা স্কুলে আটকে রাখে এই তৃণমূল। পুলিশের মদতে ওরা অপরহরণ করছে।” এবার সেই ঘটনার জল গড়াল হাইকোর্টে।
এক্ষেত্রে আরও একটি বিষয় উল্লেখ্য, পঞ্চায়েতে চোপড়ায় ভোট না হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল । চোপড়ায় ৮টি পঞ্চায়েতে ২১৭ টি আসন। ২১৪ আসনে ইতিমধ্যেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে তৃণমূল। ৩টি আসনে মনোনয়ন দিয়েছে নির্দল প্রার্থী। তাঁরা যদি মনোনয়ন তুলে নেন, তাহলে ভোট হবে না চোপড়ায়।