কলকাতা: সোমবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক। তার আগে রবিবার ধর্মতলায় জুনিয়র ডাক্তারদের আহ্বানে হল চিৎকার সমাবেশ। সেই সমাবেশে ভিড় করলেন সাধারণ মানুষ। আর এই সমাবেশ থেকেই শোনা গেল জুনিয়র ডাক্তারদের ‘হুঙ্কার’। বললেন, “নবান্ন থেকে দাবি ছিনিয়ে আনতে পারবই।” মৌখিক আশ্বাসে তাঁরা যে অনশন তুলবেন না, সেকথাও এদিন জানিয়ে দিলেন আন্দোলনের অন্যতম মুখ জুনিয়র ডাক্তার দেবাশিস হালদার।
গত ৫ অক্টোবর থেকে ধর্মতলায় অনশন করছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। শনিবার অনশন মঞ্চে এসেছিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ ও স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তী। মুখ্যসচিবের ফোনেই আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অনশন তুলে নেওয়ার অনুরোধ জানান। সোমবার বিকেল ৫টায় নবান্নে বৈঠকের কথা বলেন। তারপরই মুখ্যসচিব মেইল করেন আন্দোলনকারীদের। অনশন প্রত্যাহার করে বৈঠকে যোগ দেওয়ার কথা জানান। পাল্টা মেইলে আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, তাঁরা বৈঠকে যোগ দেবেন। তবে তার আগে অনশন তুলবেন না।
রবিবার বিকেলে চিৎকার সমাবেশের ডাক দিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। তাঁদের দাবির আওয়াজ যাতে চিৎকার হয়ে ছড়িয়ে পড়ে, সেজন্য সমাবেশের ডাক দেন তাঁরা। ধর্মতলায় চিৎকার সমাবেশে ভিড় করেন সাধারণ মানুষ। সেই চিৎকার সমাবেশ থেকেই জুনিয়র ডাক্তার দেবাশিস হালদার বলেন, “ন্যায়বিচারের দাবির চিৎকার যাতে মুখ্যমন্ত্রীর কান পর্যন্ত পৌঁছয়, সেজন্য এই মহাসমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছিল। আমাদের সহযোদ্ধাদের অনশন আর আপনাদের প্রত্যেকের যে সমর্থন, তা সরকারের কানে পৌঁছাতে পারব। আর আমাদের যে ন্যায়বিচারের দাবি, সেটা ছিনিয়ে আনতে পারবই।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা আপনাদের জোরে চলছি। আমাদের শরীর আর দিচ্ছে না।” সোমবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন জানিয়ে তিনি বলেন, “নবান্নে যাব। লিখিত নির্দেশ ছিনিয়ে আনব।” মৌখিক আশ্বাসে তাঁরা যে আর অনশন তোলার জায়গায় নেই, সেকথাও জানিয়ে দেন। একই সঙ্গে জানান, এই আন্দোলন যে ফর্মেই চলুক না কেন, এটা দীর্ঘ আন্দোলন। তাঁরা দিল্লি যাবেন বলেও জানান দেবাশিস হালদার।