কলকাতা: অনশনে জুনিয়র ডাক্তাররা। আরজি কর কাণ্ডে দ্রুত ন্যায়বিচারের দাবি উঠছে। এই পরিস্থিতিতে তিলোত্তমার বিচারের দাবিতে শনিবার সিবিআই দফতর অভিযান করল নাগরিক সমাজ। দশমীর বিকেলে রাস্তায় নামলেন সাধারণ মানুষ। করুণাময়ী থেকে সিজিও কমপ্লেক্স পর্যন্ত সেই মিছিলের আয়োজন করে একাধিক নাগরিক মঞ্চ। মিছিলে হাঁটেন সাধারণ মানুষ। মিছিল শেষে সিজিও কমপ্লেক্সে নাগরিক সমাজের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল যায় স্মারকলিপি তুলে দিতে। তদন্ত নিয়ে সিবিআইয়ের ভূমিকায় তাঁরা মর্মাহত বলে মিছিল শেষে জানান নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা।
গত ৯ অগস্ট আরজি করের সেমিনার হল থেকে এক জুনিয়র ডাক্তারের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। তিলোত্তমার নৃশংস পরিণতিতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। ঘটনার পর কলকাতা পুলিশ এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করেছিল। আর সিবিআই তদন্ত হাতে নেওয়ার পর আরজি করের তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার তৎকালীন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করে। মূলত তথ্যপ্রমাণ লোপাটের চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় তাঁদের।
এরপর আরজি কর কাণ্ডে চার্জশিট জমা দিয়েছে সিবিআই। তাতে মূল অভিযুক্ত হিসেবে এক জনেরই নাম রয়েছে। ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের। তার পর থেকে উঠছে নানা প্রশ্ন। এই পরিস্থিতিতে শনিবার সিজিও কমপ্লেক্স অভিযানের ডাক দিয়েছিল একাধিক নাগরিক মঞ্চ। করুণাময়ী থেকে এদিন মিছিল শুরু হয়। সিজিও কমপ্লেক্সের সামনে প্রস্তুত ছিল বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট। সিজিও কমপ্লেক্সের সামনে ব্যারিকেড করে মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেননি। রাস্তাতে বসেই চলে প্রতিবাদ।
নাগরিক সমাজের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল সিজিও কমপ্লেক্সের ভিতরে যায় স্মারকলিপি দেওয়ার জন্য। সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়ে তদন্তে সিবিআইয়ের ভূমিকায় হতাশা প্রকাশ করলেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। তাঁরা বলেন, “এই মামলার তদন্তে যুক্ত কোনও সিবিআই আধিকারিক ছিলেন না। ফলে সিবিআইয়ের ভূমিকায় আমরা মর্মাহত।” অন্য মামলায় যুক্ত একজন ডিএসপি পদমর্যাদার আধিকারিকের সঙ্গে কথা হয়েছে প্রতিনিধি দলের। আগামী সোমবার আবার তাঁরা সিজিও কমপ্লেক্সে আসতে পারেন বলে ইঙ্গিত দিলেন। অতীতে অন্য একাধিক মামলায় সিবিআই ব্যর্থ হয়েছে। এবারও একই হবে না তো, প্রশ্ন মিছিলে পা মেলানো নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের।