কলকাতা: উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত চলছেই। এবার সেই সংঘাতের আবহেই বড় পদক্ষেপ করতে চলেছে সুপ্রিম কোর্ট। নিয়োগ জট মেটাতে সার্চ কমিটি গঠন করতে চলেছে দেশের শীর্ষ আদালত। তার প্রাথমিক প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে বলে খবর। রাজ্য সরকার, রাজ্য়পাল, UGC-কে নাম জমা দেওয়ার জন্য এসেছে সুপ্রিম নির্দেশও। বেঁধে দেওয়া হয়েছে এক সপ্তাহের সময়সীমা। সুপ্রিম নির্দেশের পর কী বলছে রাজ্য? সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে স্বাগত জানাচ্ছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এদিন এ বিষয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “সুপ্রিম কোর্ট যে আদেশ দিয়েছেন সেটাকে মান্যতা দিয়ে দ্রুত আমাদের তরফে থেকে যে যে নমিনি চাওয়া হয়েছে সেগুলি আমরা দিয়ে দেব।”
একইসঙ্গে ইতিমধ্যেই এ ব্যাপারে রাজ্য সরকার আইনি পরামর্শও নিতে শুরু করেছে বলে জানাচ্ছেন ব্রাত্য়। বলেন, “আমরা ইতিমধ্যেই আইনি পরামর্শ নিয়েছি। তবে কতজন নমিনি পাঠাব আগামী দু’দিনের মধ্যে সেটা জানিয়ে দেব। রাজ্যাপাল সার্চ কমিটির যে অর্ডিন্যান্স সই করেছিলেন সেটায় এখনও বিল আকারে সই করেননি।”
এরপরই রাজ্যপালকে আচার্য বিল নিয়ে তোপ দাগেন তিনি। ফের কটাক্ষের সুরে বলেন, “চ্যান্সেলার বিলেও তিনি সই করেননি। তাই এ ক্ষেত্রে আমি তেলঙ্গানা হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণের কথা বলব। কোনও বিল উনি অনন্তকাল ফেলে রাখতে পারেন না। একইসঙ্গে যেখানে উনি অর্ডিন্যান্সে সই করেছেন কেন সেটায় বিলে সই করছেন না এ বিষয়ে আমাদের কাছে ধোঁয়াশা অব্যাহত রয়েছে। আমি রাজ্যপালকে বলব চ্যান্সেলার বিলে হয় উনি দ্রুত সই করে আমাদের দিন, নাহলে সই না করে ফেরত পাঠান। একইসঙ্গে সার্চ কমিটির অর্ডিন্যান্স উনি সই করেছেন, কিন্তু বিলে তিনি কেন সই করছেন না সেটাও আমরা বুঝতে পারছি না।”
প্রসঙ্গত, উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত চরম উঠতেই জল গড়ায় শীর্ষ আদালতে। তারপরই শুনানি চালাকালীন আদালতের সাফ নির্দেশ ছিল রাজ্যপাল অর্থাৎ চ্যান্সেলর, রাজ্য সরকারের তরফ থেকে শিক্ষামন্ত্রীকে আলোচনায় বসতে হবে। তারপরও জট না কাটাতেই এল এই নয়া নির্দেশ।