কলকাতা: দুর্গাপুজোয় বৃষ্টি নিয়ে হাজির হয়েছিল নিম্নচাপ। এ বার কালীপুজোতেও সেই নিম্নচাপ-কাঁটা। ঠিক পুজোর মুখে গভীর নিম্নচাপের আশঙ্কা করা হচ্ছে বঙ্গোপসাগরে। প্রাথমিক ভাবে নিম্নচাপের অবস্থান হতে পারে অন্ধ্রপ্রদেশ লাগোয়া পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর। এর পর কী হবে? আপাতত সেই দিকেই নজর মৌসম ভবনের। গভীর নিম্নচাপ শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয় কি না, বা তার অভিমুখ কোন দিকে হবে, সেই উত্তর পেতে এখনও কয়েক দিন সময় লাগবে। এমনই বলছেন আবহবিদরা। ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গ থেকে বর্ষা বিদায় নিয়েছে। আগামী দুই দিনে বাকি বাংলা থেকেও বর্ষা বিদায় নেওয়ার সম্ভাবনার কথা শুনিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। তবু বৃষ্টির আশঙ্কা যেন শেষই হচ্ছে না।
ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গ থেকে বর্ষা বিদায় নিয়েছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে রাজ্য থেকে বর্ষা পুরোপুরি বিদায় নিতে পারে। উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিক থেকে শুকনো হাওয়া ঢুকতে শুরু করেছে। আগামী পাঁচ দিনে রাজ্যে বৃষ্টির সম্ভাবনা কম। আগামী পাঁচ দিনে সমুদ্র উপকূলেও কোনও সতর্কতা নেই। তার পরে অবশ্য বৃষ্টি হবে কি না, তা ঠিক করবে সম্ভাব্য নিম্নচাপ।
দক্ষিণ চিন সাগর থেকে একটি গভীর নিম্নচাপ আসছে। আগামী ১৮ অক্টোবর তা ঘূর্ণাবর্ত রূপে হাজির হতে পারে আন্দামান সাগরে। ২০ অক্টোবর শক্তি বাড়িয়ে তা নিম্নচাপে পরিণত হবে। এরপর শক্তি বাড়িয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। তবে এটি থেকে ঘূর্ণিঝড় হবে কি না, সেই বিষয়টি অবশ্য এখনও স্পষ্ট নয়। তবে পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে আবহাওয়া দফতর। তবে অক্টোবর ঘূর্ণিঝড়-প্রবণ মাস, তাই সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
অর্থাৎ, রাজ্য থেকে বর্ষা বিদায় নিলেও বৃষ্টির ভ্রূকুটি থেকে এখনই রেহাই মিলছে না বঙ্গবাসীর। আগামী কয়েকদিন সাগরের পরিস্থিতি কেমন থাকে, তার উপরই নির্ভর করছে কালীপুজোর বাঙালির আনন্দে কতটা প্রভাব ফেলতে পারে বৃষ্টি।