কলকাতা: সময়ের আগেই রাজ্য প্রবেশ করছে বর্ষা। ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যেই উত্তরবঙ্গে ঢুকে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। কিন্তু বর্তমানের পরিস্থিতি উত্তপ্ত। গরমের জেরে ছটফট করছে রাজ্যবাসী। চোখে রোদ চশমা, হাতে ছাতা ছাড়া বাইরে বেরনো দায়। বৃষ্টি হচ্ছে। কিন্তু স্বস্তি মিলছে না। সাময়িকভাবে আরামপ্রদ আবহাওয়া থাকলেও ফের গরম পড়েছে।
এ দিকে, বর্ষা প্রবেশের পরই রাজ্যে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া অফিস। জানা গিয়েছে, আগামী দু’দিনে বঙ্গে বর্ষা প্রবেশ করতে পারে। দু’দিনের মধ্যেই উত্তরবঙ্গে মৌসুমী বায়ু প্রবেশ করার সঙ্গে-সঙ্গে উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার জলপাইগুড়িতে ভারী বৃষ্টি হবে। অতি ভারী বৃষ্টি হবে আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে। শুধু উত্তরবঙ্গই নয়, পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গে বিক্ষিপ্তভাবে ঝড়-বৃষ্টি হবে। ৭২ ঘণ্টা পর থেকে দক্ষিণবঙ্গে ঝড়-বৃষ্টির পরিমাণ কমবে।
বস্তুত, মঙ্গলবার একাধিক সুখবর শুনিয়েছে নয়াদিল্লির মৌসম ভবন। জুন থেকে সেপ্টেম্বর, ৪ মাসে দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে অন্তত ৩% বেশি বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। যদি পূর্বাভাস মেলে, তাহলে একটানা চার বছর স্বাভাবিক বা স্বাভাবিকের বেশি বৃষ্টি হবে দেশে। ২০০৫ থেকে ২০০৮ সালের পর আবার। ২০১৯ সালে ১০% বেশি, ২০২০ সালে ৯% বেশি বৃষ্টির পর গত বছরও স্বাভাবিক বর্ষণ হয় দেশে। বাইশেও এক আভাস। চাষের জন্য এর চেয়ে ভাল খবর আর কী হতে পারে!
উত্তরবঙ্গ নিয়েও সুখবর দিয়েছেন আবহবিদরা। এপ্রিল থেকেই প্রবল বৃষ্টি চলছে উত্তরের জেলায়। এ বার ২-৩ দিনের মধ্যে মৌসুমি বাতাসও ঢুকে পড়তে চলেছে। সময়ের চেয়ে অনেকটা আগেই। সাধারণত, জলপাইগুড়িতে বর্ষা ঢোকে ৭ জুন নাগাদ, শিলিগুড়িতে ৮ জুন।
এর মধ্য়ে দুঃসংবাদ শুধু দক্ষিণবঙ্গের জন্য বরাদ্দ! মৌসম ভবনের পূর্বাভাস, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে বর্ষার ৪ মাসে স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টির সম্ভাবনা। বেশিরভাগ জেলাতেই আশঙ্কা ঘাটতি বর্ষার। হাতে গোনা কিছু জেলায় স্বাভাবিক বৃষ্টি হতে পারে। মৌসুমি বাতাস বিমুখ হতে পারে গোড়া থেকেই। জুনেও দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ তল্লাটে বৃষ্টির ঘাটতির আশঙ্কা।