Weather Update: বদলে গেল আবহাওয়ার ‘মুড’! একটানা নিম্নচাপের পর দক্ষিণবঙ্গের কপালে কী অপেক্ষা করছে
Weather Update: যে কয়েটকটি জেলায় বৃষ্টি হবে, সেখানে হালকা ও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আজ, বৃহস্পতিবার থেকে ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া জেলায় হবে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি।

সৌভিক সরকার ও কমলেশ চৌধুরীর রিপোর্ট
পরপর কয়েকদিন বৃষ্টিতে নাজেহাল অবস্থা হয়েছিল কলকাতাবাসীর। ছাতা ছাড়া রাস্তার বেরনোর উপায় ছিল না। সকাল থেকে সন্ধ্যা একটানা বৃষ্টি চলছিল রাজ্যের একাধিক জেলায়। যার জেরে একাধিক জেলায় বন্যা পরিস্থিতিও তৈরি হয়েছে। তবে, বৃহস্পতিবার সকালে ‘মুড’ বদলে গেল আকাশের। উধাও মেঘ। ঝকঝকে আকাশ। ভিনরাজ্যে পাড়ি দিয়েছে নিম্নচাপও।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস বলছে, কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে আপাতত ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। যে কয়েটকটি জেলায় বৃষ্টি হবে, সেখানে হালকা ও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আজ, বৃহস্পতিবার থেকে ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া জেলায় হবে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি।
তবে উত্তরের আবহাওয়া হবে দক্ষিণের থেকে অনেকটাই আলাদা। আগামী শনিবার অর্থাৎ ১৯ জুলাই থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে উত্তরের একাধিক জেলায়। এর মধ্যে ২০ তারিখে দার্জিলিং ও আশপাশের অঞ্চলে হবে অতি ভারী বৃষ্টি। ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার জেলায়। রবিবার দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার জেলায় অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। সোমবার, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার জেলায় ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে। মঙ্গলবার থেকে বৃষ্টি কমবে উত্তরবঙ্গে।
দক্ষিণবঙ্গে ক্রমশ কমবে বৃষ্টির পরিমাণ ও বাড়বে অস্বস্তি। আর্দ্রতা বেশি থাকায় অস্বস্তিজনক আবহাওয়া থাকবে দক্ষিণবঙ্গে। বাড়বে তাপমাত্রা।
জানা গিয়েছে, মৌসুমী অক্ষরেখা পাকিস্তান সংলগ্ন রাজস্থান থেকে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। উত্তর প্রদেশ ও বিহারের উপর দিয়ে বাঁকুড়া হয়ে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে মৌসুমী অক্ষরেখা।
আজ, বৃহস্পতিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকছে ২৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বুধবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতা থাকবে ৯৫ থেকে ৯৯ শতাংশ। বৃষ্টি হয়েছে ৩.৬ মিলিমিটার।
