কলকাতা: দহন জ্বালায় জ্বলছে রাজ্য। শুষ্ক গরমে ঘর থেকে বাইরে বেরোলেই নাক-মুখ জ্বলে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার থেকে রাজ্যে শুরু হয়েছে তাপপ্রবাহ। অন্তত ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত তাপপ্রবাহের কমলা সতর্কতা রয়েছে। পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, আরও ২-৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী কয়েকদিন বৃষ্টির কোনও আশা নেই বলেও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। আবহাওয়া দফতর থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আগামী পাঁচ দিনে পশ্চিমবঙ্গের কোথাও বৃষ্টি হবে না। পশ্চিমবঙ্গ-সহ পূর্ব ভারতের সব রাজ্যেই আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। উত্তর ও মধ্য ভারত থেকে শুষ্ক বাতাস বঙ্গে ঢুকছে। ফলে আগের থেকে এবারের গরমের চরিত্রও গিয়েছে বদলে। গতবারও এই সময়ে প্যাচপ্যাচে গরমে ভুগেছে বাংলা। কিন্তু এবারের গরমটা অন্যরকম। শুষ্ক গরমে নাক মুখ জ্বলছে।
বাতাসে জলীয় বাষ্পের উপস্থিতি অনেকটাই কম। বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয় বাষ্প ঢুকছে না বাংলায়। সেক্ষেত্রে জলীয় বাষ্প ঘনীভূত হয়ে কালবৈশাখী, বৃষ্টিপাতের এখনই কোনও সম্ভাবনা নেই। আগামী কয়েকদিন কলকাতা ও আশেপাশের অঞ্চলে দিনের আকাশ রৌদ্রজ্বল থাকবে। গরমে অস্বস্তিকর আবহাওয়া অনুভূত হবে। পুড়বে চামড়া, জ্বলবে শরীর।
সতর্কতা জারি করা হয়েছে উত্তর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুরে। কালবৈশাখী হতে গেলে ছোট নাগপুর মালভূতি, ঝাড়খণ্ড, বাংলার পশ্চিমাঞ্চলের মাটি গরম হতে হয়। আর সঙ্গে বঙ্গোপসাগর থেকে বাংলায় ঢুকতে হয় প্রচুর পরিমাণ জলীয় বাষ্প। তাই ওপরে উঠে বজ্রগর্ভ মেঘ তৈরি করে। সেই মেঘেই হয় কালবৈশাখী বৃষ্টি। পশ্চিমাঞ্চলের মাটি এখন তপ্ত বটে। তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছুঁয়েছে। কিন্তু একটা উপকরণ থাকলেও দ্বিতীয় ফ্যাক্টর অর্থাৎ জলীয় বাষ্প বঙ্গোপসাগর থেকে ঢুকছে না ফলে বজ্রগর্ভ মেঘ তৈরি হচ্ছে না। মূলত সেই মেঘেই বৃষ্টিপাত হয়, তা পশ্চিমাঞ্চলের পর হাওড়া, বর্ধমান হয়ে কলকাতায় ঢোকে।
বৃহস্পতিবার, আলিপুর ৩৯.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস
দমদম ৩৯.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস
সল্টলেক ৪০.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস
ক্যানিং ৩৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস
ডায়মন্ড হারবার ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস
শ্রীনিকেতন ৪০.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস
বাঁকুড়া ৪১.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস
আসানসোল ৪০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস