Forecast: শম্বুক-গতি! পুজোর মধ্যেই ভয়াবহ পরিস্থিতি অনিবার্য বাংলায়

Weather Update: একদিকে  নিম্নচাপের বৃষ্টিতে দক্ষিণবঙ্গের বেশিরভাগ জেলার পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ। তারপর ডিভিসির জল ছাড়া হচ্ছে। জোড়া রক্তচক্ষু রাঙানিতে ত্র্য়স্ত দক্ষিণবঙ্গ। জল বেরোনোর হার বেড়েই চলেছে দুর্গাপুর জলাধারে। 

Forecast: শম্বুক-গতি! পুজোর মধ্যেই ভয়াবহ পরিস্থিতি অনিবার্য বাংলায়
বাংলায় বড় দুর্যোগ অনিবার্য!Image Credit source: PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 16, 2024 | 1:10 PM

কলকাতা: ২ দিন হয়ে গেল দক্ষিণবঙ্গেই অতি গভীর নিম্নচাপ। এতটুকু শক্তি কমেনি তার। বাংলাদেশ থেকে বাংলায় ঢোকার আগে ঘণ্টায় গড়ে ২৮ কিলোমিটার গতিবেগে এগোচ্ছিল নিম্নচাপ। বাংলায় ঢোকার পর গতি একেবারেই কমে যায়। বেশ কয়েক ঘণ্টা নড়াচড়া পর্যন্ত করেনি। কলকাতার কাছে থাকার সময় বাতাসিয়া লুপে টয় ট্রেন ঘোরার মতো চক্করও কেটেছে। শেষ কয়েক ঘণ্টায় নিম্নচাপের নিজস্ব গতিবেগ মাত্র ৩ কিমি/ঘণ্টা! দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশ সীমান্ত পেরোনোর পর বড়জোর ২০০ কিমি সরেছে নিম্নচাপ!

নিম্নচাপের এমন ধীরগতির জেরেই একটানা দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া। রোজই কোথাও না কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি চলছে। সঙ্গে আরেক বিপদ ঝাড়খণ্ডের জল। গত দু’দিন ধরে ২৬ হাজার কিউসেক হারে জল ছাড়ছে ডিভিসি। অঙ্কের হিসেবে ৪৮ ঘণ্টায় ১ লক্ষ একর ফুটের চেয়েও বেশি জল বাংলার দামোদরে ঢুকেছে। সঙ্গে স্থানীয় বৃষ্টি। বলা ভালো, অতিবৃষ্টি। যেমন গত ২৪ ঘণ্টায় আসানসোলেই ১৪৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। দুর্গাপুর জলাধারে ফ্লাড ওয়াটার ধরে রাখার সুযোগ নেই। অতিরিক্ত যা জল আসবে বেরিয়ে যাবে। সকালের আপডেট, দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে ৮৫ হাজার কিউসেক হারে জল বেরোচ্ছে। ফলে হাওড়া, হুগলি, পূর্ব বর্ধমানের বহু এলাকা, যে অঞ্চলের বানভাসি হওয়াই নিয়তি, সেই অঞ্চলগুলো ফের ভাসার আশঙ্কা। ইতিমধ্যেই শিলাবতী, ঝুমি নদীর জলে ভাসছে ঘাটাল। দ্বারকেশ্বরের জলে প্লাবিত আরামবাগ, গোঘাট। ফুঁসছে বীরভূমের কোপাই, ময়ূরাক্ষী। জেলার অনেক শহরাঞ্চলই জলমগ্ন।

‘বিপদ’ দ্রুত সরছে না, দুর্যোগও কাটছে না। উল্টে বাঁধ-জলাধারের জলে দুর্ভোগ আরও বাড়ার আশঙ্কা। পুজোর বাকি আর তিন সপ্তাহ!

এই খবরটিও পড়ুন

সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি, বর্ষার শেষ পর্যায়ে রাজ্য। নাব্যতাহীন নদী-নালা-খাল-বিল সব প্রায় ভর্তি! অতিরিক্ত জল ধরার এতটুকু জায়গা নেই! কিছু অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি তাই অনিবার্য।