Employees’ Provident Fund: বাড়ি তৈরি করবেন? কিংবা আপনি অসুস্থ? পিএফে এবার মিলবে দ্বিগুন টাকা
Employees' Provident Fund: কয়েকটি ক্ষেত্রে টাকা তোলার আপার লিমিট ৫০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ১ লাখ করা হয়েছে। এছাড়াও আরেকটা নতুন নিয়মের কথাও জানিয়েছে সরকার।
যারা বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করেন তাঁদের সকলের কাছেই ইপিএফ বা পিএফ খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা জিনিস। কারণ অনেক বেসরকারি চাকুরিজীবীর কাছেই অবসরের পর বহুক্ষেত্রেই অবলম্বন বলতে তো ওটাই। আমরা কেউই পিএফের সঞ্চয় সাধ করে ভাঙতে চাই না। কিন্তু কখনও কখনও এমন দরকার পড়ে যে পিএফের টাকায় হাত না দিয়ে উপায়ও থাকে না।
তবে পিএফের টাকা তুলতে একটা সমস্যা ছিল এতদিন। পিএফের টাকা তো ইচ্ছেমতো তোলা যায় না। যেহেতু বাজারের তুলনায় বেশি ইন্টারেস্ট দেওয়া হয় প্রভেডেন্ট ফান্ড অ্যাকাউন্টে তাই প্রিন্সিপালের ওপর একটা লক-ইন থাকে। নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে অবসরের আগেও পিএফের টাকা তোলা যায়। যেমন যার নামে পিএফ, তিনি অথবা তাঁর পরিবারের কোনও সদস্যের চিকিত্সার জন্য। এক্ষেত্রে এতদিন সর্বাধিক ৫০ হাজার টাকা তোলা যেত। বড় রোগ হলে এদিয়ে আর কতটুকু বা হয়। সেই কারণেই চিকিত্সার জন্য এই যে পার্সিয়াল উইথড্রয়াল। তার আপার লিমিট ৫০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ লাখ টাকা করল পিএফ কর্তৃপক্ষ। তৃতীয় মোদী সরকারের ১০০ দিনে কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য এই ঘোষণা করেছেন।
যাঁরা অনলাইনে আবেদন করবেন তাঁদেরও সমস্যা নেই। পিএফ কমিশনারের নির্দেশে এই জন্য সংশ্লিষ্ট সব অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার আপডেট করা হয়েছে। ঠিক কী কী ধরনের অসুস্থতায় টাকা তোলা যাবে সেটাও একবার বলে দিই। পিএফের নিয়মকানুনের প্যারাগ্রাফ 68-J-তে বলা রয়েছে হাসপাতালে ভর্তি হলে, বড় অপারেশন হলে কিংবা টিবি, লেপ্রোসি, প্যারালিসিস, ক্যাননসার, মানসিক সমস্যা বা হার্টের অসুখের জন্য টাকা তোলা যাবে। টাকা তুলতে আপনাকে form 31 ফিল-আপ করতে হবে। বাড়ি কেনা, বাড়ি তৈরি, বিয়ে, ঋণশোধ- এরকম কয়েকটি ক্ষেত্রেও পার্সিয়াল উইথড্রয়াল করা যায়। এইসব ক্ষেত্রেও টাকা তোলার আপার লিমিট ৫০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ১ লাখ করা হয়েছে। এক্ষেত্রেও টাকা তুলতে সেই একই form 31 ফিল-আপ করতে হবে।
এছাড়াও আরেকটা নতুন নিয়মের কথাও জানিয়েছে সরকার। এতদিন চাকরির মেয়াদ কমপক্ষে ৬ মাস না হলে পিএফ থেকে টাকা তোলা যেত না। সেই নিয়ম তুলে দেওয়া হয়েছে। চাকরি বদলালে আগের পিএফ অ্যাকাউন্টের টাকা নতুন পিএফ অ্যাকাউন্টে অটোম্যাটিক ট্রান্সফারের ব্যবস্থা সম্প্রতি করা হয়েছে। এবার সাধারণ মানুষের আরও একটু সুবিধা হল। কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী জানিয়েছেন এতদিন বেসিক স্যালারি ১৫ হাজারের কম হলে ইপিএফও কনট্রিবিশন বাধ্যতামূলক ছিল। স্যালারি ১৫ হাজারের বেশি হলে তা বাধ্যতামূলক ছিল না। এক্ষেত্রে পিএফে বাধ্যতামূলক যোগদানের জন্য বেতনের উর্ধ্বসীমা বাড়ানোর কথাও সরকার ভাবছে, জানিয়েছেন শ্রমমন্ত্রী।