Tigress Zeenat: মাংস ছুঁয়েও দেখছে না বাঘিনি, জল-দুধ খাচ্ছে জিনাত, স্বাধীনতা হারিয়ে কি মন খারাপ
Tigress Zeenat: একটানা ৯ দিন ধরে তাড়া খেয়ে এদিক থেকে ওদিকে গিয়েছে বাঘিনি। এত ধকল সহ্য করে কেমন আছে সে, তা পরীক্ষা করে দেখার জন্য়ই বাঘিনিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে আলিপুরে। তবে, তার শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই। তা দেখে স্বস্তি পাচ্ছেন চিকিৎসকরা।
কলকাতা: গত কয়েকদিন ধরে বন দফতরকে নাকে দড়ি দিয়ে ঘুরিয়েছে বাঘিনি জিনাত। পুরুলিয়া থেকে বাঁকুড়া, জঙ্গলের ভিতর মাইলের পর মাইল হেঁটেছে সে। পথে যা পেয়েছে খেয়েছে, যেমন খুশি চলাফেরা করেছে। শেষ পর্যন্ত ঘুমের ইঞ্জেকশনে কাবু হয়ে ধরা পড়ে। বর্তমানে সে রয়েচে আলিপুরের পশু হাসপাতালে। কিন্তু ধরা পড়ার পর থেকেই মাংসে অরুচি দেখা যাচ্ছে জিনাতের। মাংস মুখের সামনে দেওয়া হলেও ছুঁয়ে দেখছে না জিনাত।
একটানা ৯ দিন ধরে তাড়া খেয়ে এদিক থেকে ওদিকে গিয়েছে বাঘিনি। এত ধকল সহ্য করে কেমন আছে সে, তা পরীক্ষা করে দেখার জন্য়ই বাঘিনিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে আলিপুরে। তবে, তার শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই। তা দেখে স্বস্তি পাচ্ছেন চিকিৎসকরা। সাধারণত ৯ দিন একটানা তাড়া খেয়ে শরীরে যে ধরনের ‘এক্সটারনাল’ আঘাত থাকতে পারে তার কোনওটাই নেই জিনাতের শরীরে। তবে মাংসা খাচ্ছে না সে, খাচ্ছে শুধু দুধ আর জল।
চিকিৎসরা মনে করছেন, এই ৯ দিনে জিনাত পর্যাপ্ত ছাগল, মুরগি বা শুয়োরের মাংস খেয়েছে। ফলে পশু হাসপাতালের মাংস ছুঁয়ে দেখতে ইচ্ছে করছে না জিনাতের। পাশাপাশি, ৪ টি ট্রানকুলাইজারের প্রভাব এখনও সম্পূর্ণ কাটেনি। তার শরীরে এখনও ডার্ট এবং ওষুধের যথেষ্ট প্রভাব থেকে গিয়েছে। জানা গিয়েছে, ধরা পড়ার আগে তিনটি ছাগল খেয়েছে জিনাত।
আরও একটা বিষয় হল, মুক্ত পরিবেশ থেকে হঠাৎ বন্দি জীবনে চলে গিয়েছে সে। প্রশ্ন হল, স্বাধীনতা হারিয়ে কি মন খারাপ? তাই কি কোনও খাবার মুখে রুচছে না তার? জিনাত আগেও একবার খাঁচায় বন্দি হয়েছিল, সম্ভবত ওড়িশার কোনও এলাকায় বন্দি করা হয়েছিল। কিছু উপসর্গ দেখে তেমনটাই অনুমান করছেন তিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।