Weather Update: বাড়ছে ঝঞ্ঝার দাপট, রাত পোহালেই শহরে বৃষ্টির আশঙ্কা…কী বলছে হাওয়া অফিস?
Kolkata: হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, রাতের দিকে আরও বাড়তে পারে তাপমাত্রা। তবে, মঙ্গলবার মহানগরের আবহাওয়া শুষ্কই থাকবে
কলকাতা: দেখতে দেখতে শীত দিগন্তরেখা স্পর্শ করছে। ঝঞ্ঝার দাপটে ক্রমেই দূরে ঠান্ডা। ক্রমেই বাড়ছে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার দাপট। রাত পোহালেই তাই কলকাতা শহরে হতে পারে বৃষ্টি বলছে আলিপুুর হাওয়া অফিস।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, মঙ্গলবার থেকেই জেলায় জেলায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। পশ্চিমের জেলাগুলিতে বিশেষ করে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, পশ্চিম বর্ধমান ঝাড়গ্রামে এদিন থেকেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। আগামিকাল অর্থাৎ ১২ তারিখ থেকে টানা ১৪ তারিখ পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতেও বৃষ্টি হবে। বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকছে কলকাতাতেও।
কলকাতায়, মঙ্গলবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৮.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে যা প্রায় ৪ ডিগ্রি বেশি। হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, রাতের দিকে আরও বাড়তে পারে তাপমাত্রা। তবে, মঙ্গলবার মহানগরের আবহাওয়া শুষ্কই থাকবে। বুধেই বৃষ্টির সম্ভাবনা কলকাতায়। অন্যদিকে, জেলাগুলিতে বিশেষ করে উত্তরে দার্জিলিঙ ও কালিম্পংয়ে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দোপাধ্যায় বলেন, “মঙ্গলবার থেকে বৃষ্টি শুরু হবে পশ্চিমের জেলাগুলিতে। এদিন বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। কলকাতা-সহ রাজ্য জুড়ে বৃষ্টি হবে। মূলত হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে। উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ কম হবে। দার্জিলিং, কালিম্পয়ে শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।”
একইসঙ্গে সঞ্জীব বন্দোপাধ্যায় বলেন, “১২ তারিখ হালকা বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সমস্ত জেলাতেই। ১৩ ও ১৪ জানুয়ারিও বৃষ্টি থাকবে তবে ১২ তারিখের তুলনায় কমবে দাপট। ১২ থেকে ১৪ আমরা দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টি পাব। রাত থেকে বৃষ্টি শুরু হবে পুরুলিয়া, বাঁকুড়ায়। ১২ তারিখ বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হবে পশ্চিমের জেলাগুলিতে। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম বর্ধমানের দু’ এক জায়গায় শিলাবৃষ্টিও হতে পারে।”
বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে সাগর মেলাতেও। আপাতত রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের উপরে থাকায় শীতের অনুভব কম হবে। মাঘের প্রথম সপ্তাহে ফের তাপমাত্রা কমতে পারে, ফলে দেখা মিলতে পারে শীতের। হাওয়া অফিস বলছে, বুধবার অবধি এই তাপমাত্রা ঊর্ধ্বমুখীই থাকবে। রাজস্থান থেকে বাংলায় আসা ঝঞ্ঝার শক্তিবৃদ্ধিতেই এই বৃ্ষ্টি-বিপদ বলেই জানা গিয়েছে।
ইতিমধ্যেই নবান্ন থেকে সতর্কবার্তা পাঠানো হয়েছে জেলার কৃষি আধিকারিকদের কাছে। তাঁদের সবরকমভাবে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। বৃষ্টি হলে চাষিদের শস্যের ক্ষয়ক্ষতি হবেই। বিশেষ করে আলু চাষিদের জন্য যথেষ্ট উদ্বেগের কারণ হতে পারে এই বৃষ্টি। নবান্নের তরফে বলা হয়েছে, এর জন্য ব্লকের কৃষি আধিকারিকদের প্রয়োজনীয় সমস্ত ব্যবস্থা নিতে হবে। এখন রবিশস্যের সময়। একইসঙ্গে এই সময় বোরো ধানও চাষ হয়। সেসব দিকে নজর রাখার কথা বলা হয়েছে।
জানুয়ারির শীতলতম দিন ছিল গত ৪ তারিখ, মঙ্গলবার। ওইদিন তাপমাত্রা কমে দাঁড়ায় ১২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা স্বাভাবিকের থেকে প্রায় ১ ডিগ্রি কম। অন্যদিকে, মরসুমের শীতলতম দিন ছিল ২০ ডিসেম্বর। সেদিনও তাপমাত্রা বারোর কোঠায় নেমেছিল। বছরের শেষ দিনে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।