Weather Updates: পিছু ছাড়ছে না অ-‘মঙ্গলের’ বৃ্ষ্টি, কুয়াশা মাখা কলকাতায় নিম্নমুখী পারদ…কী বলছে হাওয়া অফিস?

TV9 Bangla Digital | Edited By: tista roychowdhury

Jan 25, 2022 | 7:56 AM

Kolkata: আলিপুর হাওয়া অফিস জানিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরেই রাতের বেলা তাপমাত্রা কমছে। সোমবার রাতে ১৬.৩ ডিগ্রি থেকে কমে দাঁড়ায় ১৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কমেছে দিনের তাপমাত্রাও।

Weather Updates: পিছু ছাড়ছে না অ-মঙ্গলের বৃ্ষ্টি, কুয়াশা মাখা কলকাতায় নিম্নমুখী পারদ...কী বলছে হাওয়া অফিস?
কেমন থাকবে রাজ্যের আবহাওয়া? নিজস্ব চিত্র

Follow Us

কলকাতা: শীতের (Winter) খামখেয়ালি আচরণ অব্যাহত। একদিকে যখন রাতের তাপমাত্রা কমছে, তখন পিছু ছাড়ছে না ঘ্যানঘ্যানে বৃষ্টি। সপ্তাহ শুরুর দ্বিতীয়দিনেও বৃষ্টি (Rainfall) থেকে অব্যাহতি নেই। মঙ্গলবারেও কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে হালকা বৃষ্টিপাত হতে পারে।

আলিপুর হাওয়া অফিস জানিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরেই রাতের বেলা তাপমাত্রা কমছে। সোমবার রাতে ১৬.৩ ডিগ্রি থেকে কমে দাঁড়ায় ১৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কমেছে দিনের তাপমাত্রাও। সোমবার দিনের তাপমাত্রা ২২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে কমে দাঁড়ায় ২১.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২১ ডিগ্রি ও রাতের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রির আশেপাশেই থাকবে।

তবে বৃষ্টি থেকে ছুটি মিলছে না। দক্ষিণবঙ্গে কলকাতা-সহ বাকি জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ২৭ জানুয়ারি থেকে ধীরে ধীরে পরিষ্কার হবে আকাশ। শুধু উপকূলীয় জেলাগুলিতে আকাশ আগামিকাল মেঘলা থাকবে। বৃহস্পতিবার থেকে রাতের তাপমাত্রা প্রায় ৩ ডিগ্রি পর্যন্ত কমতে পারে। এছাড়াও উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলাতেই বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ২৭ জানুয়ারি থেকে বঙ্গে ফের শীত অনুভূত হবে। তবে কবে জাঁকিয়ে শীত পড়বে তা এখনও স্পষ্ট করে বলা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে আলিপুর হাওয়া অফিস।

মঙ্গলবার উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলে এবং কলকাতাতেও কুয়াশার দাপট থাকবে। কলকাতা বিমানবন্দরে ঘন কুয়াশায় দৃশ্যমানতা কম থাকার কারণে ধীরগতিতে চলছে বিমান ওঠানামা। বিমানবন্দরের রানওয়েতে ব্যবহার করা হচ্ছে কৃত্রিম আলো। তবে বিমান পরিষেবা পুরোপুরি ব্যাহত না হলেও বেশ কয়েকটি বিমান দেরিতে চলছে বলে খবর সূত্রের। মঙ্গলবার, সকাল ৭ টা পর্যন্ত কলকাতা বিমানবন্দরের দৃশ্যমানতা ১০০ মিটার নেমে আসে।

হাওয়া অফিস জানিয়েছে, মঙ্গলবার দার্জিলিং, সিকিমের উঁচু অংশে তুষারপাত হতে পারে। বুধবার বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে পাঁচ জেলায়। উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টি হতে পারে। ইতিমধ্য়েই রবিবার থেকে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে হালকা বৃষ্টি শুরু হয়েছে। যার জেরে বিস্তর ক্ষতি হয়েছে চাষের। এই সময়টাই মূলত আলু চাষের মরসুম। শুধু আলুচাষ নয়, মরসুমি ফুলচাষেরও সময় এটিই। তাতেও বিস্তর ক্ষতি। আর সবজিচাষের এই ব্যাপক ক্ষতিতে টান পড়ছে মধ্যবিত্তের হেঁশেলে।

ভরা মাঘে এমন অকাল বৃষ্টির কারণ হিসাবে আবহাওয়াবিদরা পশ্চিমী ঝঞ্ঝাকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন। সম্প্রতি একের পর এক পশ্চিমী ঝঞ্ঝা উত্তর-পশ্চিম ভারত থেকে মধ্য ভারত হয়ে সরাসরি বঙ্গে প্রবেশ করছে। যার জেরে পিছু হাঁটতে বাধ্য হয়েছে শীত। উল্টে দফায় দফায় বৃষ্টি হয়ে চলেছে। এই বৃষ্টি কাঁটাতেই আটকে গিয়েছে শীতও। শিরশিরে হাওয়া থাকলেও, জাঁকিয়ে শীত কার্যত উধাও। বৃহস্পতিবার থেকে শীতের মেজাজ অনুভূত হলেও তা কতদিন থাকবে তাই নিয়ে ধন্দ রয়েছেই।

কিন্তু, আশঙ্কার শেষ এখানেই নয়। জলবায়ু বদলের চক্করে ভুগতে পারে বাংলা। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া বিভাগের ‘হ্যাজার্ড অ্যাটলাস’-এও সেই প্রতিফলন ঘটেছে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, জলবায়ু বদলের ইঙ্গিত তো রয়েছেই, সেই সঙ্গে বাড়ছে ঝড়, বন্যা, অতিবর্ষণ, বজ্রপাত ও খরার বিপদও। ঘূর্ণিঝড়ের বিপদের তালিকায় রয়েছে দুই ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুর। এই তিন জেলায় রয়েছে প্রবল জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কাও। খরা দেখা দিতে পারে বীরভূম ও নদিয়ায়। অতিবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে মুর্শিদাবাদ, উত্তর ২৪ পরগনা ও হাওড়া বাদে গোটা রাজ্যে।

Next Article