কলকাতা: জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহ। কিন্তু, দেখা নেই শীতের (Winter)। উল্টে বেড়েই চলেছে তাপমাত্রা। উপরন্তু শীত উধাও হয়ে বৃষ্টির সম্ভাবনা বঙ্গ জুড়ে। নেপথ্যে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। অন্তত এমনটাই বলছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, আপাতত বঙ্গে আসছে না শীত। প্রতিদিনই অল্প অল্প করে বাড়বে তাপমাত্রা। রবিবারের সকালে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি বেশি। কলকাতায় রবিবারের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৭.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি বেশি। সর্বিনিম্ন তাপমাত্রা ১৫.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে ক্রমেই বৃদ্ধি পেয়েছে জ্বলীয়বাষ্পের পরিমাণ। সেই কারণে আর্দ্রতার পরিমাণও ৯৮ শতাংশ। রবিবার কোনও বৃষ্টির সম্ভাবনা না থাকলেও সোমবার থেকেই বৃষ্টি হতে পারে রাজ্য জুড়ে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে সোমবার থেকেই বদলাবে আবহাওয়া। পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে আগামিকাল থেকেই বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, পশ্চিম বর্ধমান ও ঝাড়গ্রামে। মঙ্গলবার ১২ জানুয়ারি দক্ষিণ বঙ্গের সব জেলাতেই বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কলকাতাতেও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে। রাজস্থান হয়ে আসা ওই পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবেই বঙ্গে প্রচুর জ্বলীয় বাষ্প ঢুকতে শুরু করবে। ফলে বাধা পাবে উত্তুরে বাতাস। যার জেরেই হবে বৃষ্টিপাত। তবে আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, ১৩ ও ১৪ জানুয়ারি তাপমাত্রা আবার কিছুটা কমতে পারে। এমনটাই পূর্বাভাস আলিপুর আবহাওয়া দফতরের।
জানুয়ারির শীতলতম দিন ছিল চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবার। ওই দিন, কলকাতার তাপমাত্রা কমে দাঁড়ায় ১২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি কম। সোমবার তা ১৩.৫ ডিগ্রিতে নেমেছিল। বছরের শেষ দিনে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তথ্য বলছে,’২১-এ গোটা ডিসেম্বর মিলিয়ে কলকাতার রাতের তাপমাত্রার গড় থেকেছে স্বাভাবিকের উপরেই। পরিসংখ্যান বলছে, সর্বনিম্ন তাপমাত্রার গড় দাঁড়িয়েছিল ১৬.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। স্বাভাবিক ১৫.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, অর্থাত্ স্বাভাবিকের চেয়ে ১.২ ডিগ্রি বেশি। শীতে তো তাপমাত্রা কম থাকবে, হল বেশি! অধরা পাশ মার্কই। কেন বেশি হয়েছে? উত্তর সহজ। ৩১ দিনের মাসে ১৮ দিনই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল স্বাভাবিকের উপরে। ১৩ দিন পারদ ছিল স্বাভাবিক বা তার নীচে।
মৌসম ভবনের পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান, উপমহানির্দেশক সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “টানা ঠান্ডা পেতে হলে দুই ঝঞ্ঝার মধ্যে সময়ের ফারাক থাকতে হয়। সেই জন্যই গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে ২৫ ডিসেম্বর একটানা শীতের আমেজ পেয়েছে কলকাতা। কিন্তু দু’টি ঝঞ্ঝার মধ্যে সময়ের ফারাক না-থাকলে তাপমাত্রা নামার সময় পায় না। সেটাই হয়েছে।” তাহলে উপায়? আপাতত, শীতের জন্য চাতকের অপেক্ষা! বলছেন সংশ্লিষ্ট মহল।
আরও পড়ুন: Bengal BJP: পঞ্জাবে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিভ্রাট, রাজ্যপালের ‘দুয়ারে’ বঙ্গ বিজেপি!