কলকাতা: ক্যাগের রিপোর্টের (CAG Report) উপর ভিত্তিতে কেন্দ্রের টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ তুলে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছিলেন বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। যদিও সাংবাদিক হিসাবে এই মামলা করেছেন বলে দাবি করেন তিনি। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চের কাছে রাজ্যের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল জানালেন, যে ক্যাগ রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে কেন্দ্রের অর্থ নয়ছয়ের অভিযোগে মামলা হয়েছে, সেই ক্যাগ রিপোর্ট বিবেচনার জন্য এখন বিধানসভায় রয়েছে। গত বছরের ১৭ মার্চ ওই রিপোর্ট বিধানসভায় পেশ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চের কাছে অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় অনুরোধ করেন, যেহেতু বিষয়টি বিবেচনার জন্য এখন বিধানসভায় রয়েছে, তাই এখন এই নিয়ে মামলার শুনলে, তার সঠিক বিচার হবে না। তাঁর আরও দাবি, যাবতীয় প্রকল্পের টাকা খরচের ‘ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট’ তাদের কাছে আছে। সময়ে সে সব পেশ করা হবে বলেও জানান তিনি। আদালত আগামী ১৩ এপ্রিল মামলাটি শুনানির জন্য রেখেছে। তার আগে রাজ্যকে এদিনের বক্তব্য লিখিতভাবে জানাতে হবে হাইকোর্টকে।
প্রসঙ্গত, জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বিজেপির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক। কেন্দ্রের টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে বিজেপি ইতিমধ্যেই ইস্যু করতে শুরু করেছে। বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ তথা বর্ষীয়ান আইনজীবী মহেশ জেঠমালানি টুইটারে লিখেছেন, ‘পশ্চিনবঙ্গে আরও একটি বড়সড় কেলেঙ্কারির ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের করা একটি মামলায় অভিযোগ উঠেছে, রাজ্য সরকার প্রায় ২.৩০ লাখ কোটি টাকার নয়ছয় করেছে। মামলাটি ক্যাগের রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে করা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত কী বেরিয়ে আসে, সেই অপেক্ষায় রয়েছি।’
There is hint of another #WB scam of massive proportions. A petition in the Calcutta HC alleges misappropriation of a whopping amount of Rs 2.30 lakh crores by the State govt. The case is based on a report by the CAG which relies on probative evidence. Waiting for the outcome
— Mahesh Jethmalani (@JethmalaniM) February 7, 2023
উল্লেখ্য, এই মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট আগেই রাজ্যের অর্থসচিবকে যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছিল। যে জনস্বার্থ মামলাটি করা হয়েছে, সেখানে ক্যাগের রিপোর্ট উল্লেখ করে দাবি করা হয়েছে, রাজ্যে বিভিন্ন প্রকল্পে কেন্দ্রের পাঠানো টাকার হিসাব মিলছে না। বিষয়টিকে নিয়ে সিবিআই তদন্তের আবেদন করা হয়েছে হাইকোর্টে।