কলকাতা: বেহালায় এক মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল। পর্ণশ্রী থানা এলাকার ঘটনা। যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই ব্যক্তিকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, ওই মহিলার সঙ্গে অভিযুক্তের পূর্ব পরিচয় রয়েছে। দু’জনই ১০০ দিনের কাজ করেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর। ওই ব্যক্তি নিজের বাড়িতে ডেকে পাঠান ওই মহিলাকে। সেখানেই তাঁকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। ওই মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। বৃহস্পতিবার অভিযুক্তকে আলিপুর আদালতে তোলা হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, পর্ণশ্রী থানা এলাকায় বাড়ি দু’জনেরই। তাঁরা দিন মজুরের কাজ করেন। একে অপরের পরিচিত। দু’জনেরই বয়স ৪০ বছরের কাছাকাছি। তাঁদের মধ্যে নানা সময় নানা বিষয়ে কথাবার্তা হত। পুরনো সম্পর্ককে হাতিয়ার করেই অভিযুক্ত ব্যক্তি ওই মহিলাকে নিজের বাড়িতে ডেকে পাঠান। সেখানেই ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। এরপরই ওই মহিলা পর্ণশ্রী থানায় অভিযোগ জানান। তার ভিত্তিতেই এদিন গ্রেফতার করে আদালতে তোলা হয় ওই ব্যক্তিকে। অভিযোগ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। কেন ওই মহিলাকে বাড়িতে ডেকেছিলেন তিনি, কেনই বা এই ধরনের অভিযোগ উঠল তার তদন্তে অভিযুক্তকে যেমন জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। একইভাবে ওই মহিলার সঙ্গেও কথা বলছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিনে একাধিক ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এ রাজ্যে। গত ১২ এপ্রিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের নেতৃত্বে ডিভিশন বেঞ্চে একাধিক ধর্ষণের মামলা উঠেছিল। উত্তর ২৪ পরগনার মাটিয়া ও দেগঙ্গা, মালদহের ইংরেজবাজার এবং কলকাতার বাঁশদ্রোণী- এই চারটি ধর্ষণের মামলায় তদন্ত কমিটি গঠন করে হাইকোর্ট। আর তার নেতৃত্বে রাখা হয় দময়ন্তী সেনকে। দশ বছর আগে পার্ক স্ট্রিটে গণধর্ষণ মামলায় নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এই দুঁদে আইপিএস অফিসার। সাফল্যও পেয়েছিলেন। দশ বছর পর রাজ্যে চারটি ধর্ষণের মামলায় তদন্ত কমিটির নেতৃত্বের ভার পড়ে তাঁর উপর। আদালত যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে এই ধরনের মামলাকে বিচার দেওয়ার চেষ্টা করছে। অথচ তার পরও ধর্ষণ, শ্লীলতাহানির মতো যৌন হেনস্থার অভিযোগ কমছে না।