কলকাতা: ‘ইচ্ছে’ নামে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের যে বাড়ি, এবার সেই বাড়িটি নিয়েই তদন্তের নির্দেশ দিল কেএমডিএ। কেএমডিএ’র চেয়ারপার্সন ফিরহাদ হাকিম। এই বাড়িতেই অর্পিতা মুখোপাধ্যায় নিজের প্রথম প্রোডাকশন হাউস খুলেছিলেন বলে ইডি সূত্রে খবর। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অধীনে ২০১১ সালে বাড়িটি তৈরির কাজ শুরু হয়। ২০১২ সালে কাজ শেষ হয়। এই বাড়িটির জমিজমা নিয়ে তদন্ত হবে এবার। সূত্রের খবর, তদন্তে গোলমাল ধরা পড়লে জমি ফেরত নিয়ে অধিগ্রহণ করতে পারে কেএমডিএ।
সূত্রের খবর, ৯৫ নম্বর রাজডাঙা মেইন রোড। সেখানে তিনটি প্লট রয়েছে। পুরনিগমের কর রাজস্ব খাতার তালিকা অনুযায়ী ১০, ১১ এবং ১২। কিন্তু ১১ নম্বর প্লটে ‘ইচ্ছে’ নামে বাড়িটি রয়েছে বলে পুরনিগমের খাতায় উল্লেখ রয়েছে। বাকি ১০ এবং ১২ নম্বর প্লটে বাড়ি থাকলেও পুরনিগমের খাতায় তা রয়েছে ফাঁকা জমি হিসাবে। এমনকী ১১ নম্বর প্লট, যেখানে বাড়ি ২ কাঠা ৯ ছটাক এর উপর তৈরি, তার জন্য পুরনিগমকে বার্ষিক কর দেওয়া হত ২৩৫৬ টাকা। এমনটাই পুরনিগম সূত্রে খবর। অথচ এই জায়গা থেকে পুরনিগমের কর পাওয়ার কথা ১ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকার উপরে।
কলকাতা পুর এলাকায় এত বড় বাড়ি তৈরি করে সেখানে প্রোডাকশন হাউজ তৈরি করল এবং শুটিং ও বিয়ে বাড়ি ভাড়া দেওয়া হল, কলকাতা পুরনিগমের কর্তারা কিছুই জানলেন না? স্বাভাবিকভাবেই এটা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। পুরনিগমের খাতায় বাড়িটির অস্তিত্ব নেই। অথচ সেখানে দিনের পর দিন ব্যবসা চলেছে। অর্পিতা মুখোপাধ্যায় নিজে দিনের পর দিন এসেছেন বলে সূত্রের খবর। এ প্রসঙ্গে ফিরহাদ হাকিম বলেন, “ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়েছে।” সূত্রের খবর, ২০১৩ সালে অর্পিতা মুখোপাধ্যায় এখানে প্রথম নিজের প্রোডাকশন হাউজের অফিস খুলে বসেন। এখানে বিভিন্ন জুনিয়র আর্টিস্টদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হত বলে দাবি করা হয়েছে। ২০১১ সালে বাড়িটি তৈরি হয়।