Shahid Imam-Sohom: শাহিদ ইমামের প্রোডাকশন হাউজে সোহমের ছবির পোস্টার, মুখ খুললেন অভিনেতা

Lake Gardens: যিনি নিজেও টলিপাড়ার দীর্ঘদিনের মুখ। শাহিদের লেক গার্ডেন্সের অফিসে 'পাকা দেখা' নামে একটি ছবির পোস্টার দেখা গিয়েছে।

Shahid Imam-Sohom: শাহিদ ইমামের প্রোডাকশন হাউজে সোহমের ছবির পোস্টার, মুখ খুললেন অভিনেতা
সোহম চক্রবর্তী ও শাহিদ ইমাম।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 20, 2023 | 12:48 AM

কলকাতা: প্রাথমিক স্কুলের ‘স্যর’ হুগলির আরামবাগের শাহিদ ইমাম (Shahid Imam)। অথচ হাতে কোটি, কোটি টাকা। সেই টাকাতেই কখনও সিনেমার প্রযোজনা, আবার কখনও মিউজিক ভিডিয়ো তৈরি। টলিপাড়ার দর্শনা বণিক থেকে বলিউডের রাখি সাবন্ত, কার সঙ্গে কাজ করেননি? রুপোলি পর্দায় রীতিমতো হাত পাকিয়ে ফেলেন শাহিদ ওরফে শুভম ওরফে মহারাজ। অডি, মার্সিডিজ, বিএমডব্লু, ফরচুনারের মতো বিলাসবহুল গাড়ি আছে তাঁর। কলকাতা, মুম্বইয়ে একাধিক ফ্ল্যাটও নাকি আছে শাহিদের নামে। কলকাতার লেক গার্ডেন্সের এরকমই একটি ফ্ল্যাটের বহুতলে আরামবাগের মহারাজের প্রোডাকশন হাউজও চলত। আর সেই প্রোডাকশন হাউজের সঙ্গে নাম জড়িয়েছে তৃণমূল বিধায়ক সোহম চক্রবর্তীর। যিনি নিজেও টলিপাড়ার দীর্ঘদিনের মুখ। শাহিদের লেক গার্ডেন্সের অফিসে ‘পাকা দেখা’ নামে একটি ছবির পোস্টার দেখা গিয়েছে। সেখানে লেখা শাহিদের প্রোডাকশন হাউজ ‘সোনম মুভিজ’ ও ‘সোহম’স এন্টারটেনমেন্ট’ প্রযোজিত। যদিও এ নিয়ে সোহম চক্রবর্তী বলেন, ‘পাকা দেখা’ ছবিতে টাকা দেবেন বলেও টাকা দেননি শাহিদ ইমাম। তাই তাঁর নাম পোস্টার থেকে বাদও পড়ে যায়। ওই অফিসে যে পোস্টার দেখা গিয়েছে, ‘ফেক’ বলেও দাবি করেন সোহম।

শাহিদের প্রোডাকশন হাউজ ‘সোনম মুভিজ’ থেকে হিন্দি, বাংলায় একাধিক ছবি তৈরি হয় বলে জানা গিয়েছে। অভিযোগ, শিক্ষা ‘কেলেঙ্কারি’তে ‘রোজগার’ করা কোটি কোটি কালো টাকা ঢুকত টলিউড ও বলিউডে। অভিনেতা সুমিত গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “আমি একবার ওকে বলেছিলাম এত ছবি বানাচ্ছিস, সেগুলি রিলিজ কর। হঠাৎ বলল, ও বম্বে যাচ্ছে। ওখানে ফ্ল্যাট নিয়ে থাকবে। হিন্দি সিনেমা করবে। বলে ‘আমি হিন্দি সিনেমা করব সলমন খানের সঙ্গে’। আমি বললাম, এত টাকা পাস কোথা থেকে? আমাকে বলেছিল বাবার টাকা আছে। আরামবাগে বিশাল ব্যবসা। রেস্তোরাঁ, ধাবা, হোটেল আছে। টোটো, অটো, জমির ব্যবসা আছে। আমিও মাঝে মাঝে ওদের অফিসে গিয়েছি।”

অন্যদিকে শাহিদ ইমামের সঙ্গে অভিনয় করেছেন দর্শনা বণিক। তিনি বলেন, “কাজের সময় তো কাজ করেছি। প্রযোজক কীভাবে কোথা থেকে টাকা পয়সা আনেন সেটা তো জানি না। এটা মিউজিক ভিডিয়ো ছিল। লংটার্ম কমিটমেন্টের ব্যাপারও ছিল না। শুটিং, ডাবিং, পোস্ট প্রোডাকশনের এত ব্যাপার নেই।”

শাহিদের সঙ্গে কাজ করা নিয়ে পরিচালক নেহাল দত্ত বলেন, “সুমিত গঙ্গোপাধ্যায়কে কোনও এক সময় বলেছিল, ভাল পরিচালক দিতে। ও ছবি করতে চায়। সুমিতদা আমার কাছে নিয়ে আসে। তারপর সুমিতদারই একটা গল্প পছন্দ হয়। সেই ছবিটা হয়। ও নন-অ্যাক্টর ছিল, তবে খুব ওবিডিয়েন্ট ছিল। অনেক বকাঝকা করেছি। সবার সঙ্গে খুব ভাল সম্পর্ক ছিল। ইউনিটের সকলকে সম্মান করত। আমি ওর মধ্যে খারাপ কিছু দেখিনি।”