পশ্চিম বর্ধমান: ২০ অগস্ট পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতে অনুব্রত মণ্ডল। বৃহস্পতিবার আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী এই নির্দেশ দেন। এদিন সকালেই বীরভূমের বোলপুর নীচুপট্টি এলাকায় অনুব্রতর বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। এরপরই রাঙামাটির পথ ছাড়িয়ে বীরভূমের ‘কেষ্ট’কে নিয়ে সিবিআইয়ের কনভয় ছোটে রুখাসুখা আসানসোলের পথে। মাঝে কোলিয়ারি এলাকা কুলটির শীতলপুরে ইসিএলের গেস্ট হাউজে নিয়ে যাওয়া হয় অনুব্রতকে। সেখানে বেশ কিছুক্ষণ তদন্তকারীরা জেরা করেন বলেই সূত্রের খবর। এরপর সেখান থেকে আসানসোল আদালতে পৌঁছয় বিকেলে। তোলা হয় এজলাসে।
আদালতে সিবিআইয়ের আইনজীবী জানান, আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন বিপুল সম্পত্তি রয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের। তদন্তে তিনি সহযোগিতা করছেন না বলেও আদালতে জানান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী। জিজ্ঞাসাবাদপর্বে বেশ কিছু তথ্য অনুব্রত এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন, এমন দাবিও করা হয় সিবিআইয়ের তরফে। তারা বলে, কীভাবে এই সম্পত্তি, তা জানতে অনুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।
অন্যদিকে অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী আদালতে বলেন, অনুব্রতর বয়স নজরে আনার মত। তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ। তাই হেফাজতে দেওয়া হলেও, সময়সীমা যেন কমানো হয়। ইতিমধ্যেই সিবিআই ১৪ দিনের জন্য অনুব্রতকে হেফাজতে চান। ভরা কোর্টরুমে অনুব্রত মণ্ডলের কাছেই বিচারক জানতে চান, ‘আপনার শরীর কেমন?’ সূত্রের খবর, জবাবে অনুব্রত বলেন, ‘বুকে ব্যথা আছে, পা ফোলা আছে, কিডনির সমস্যা আছে। ফিসচুলা, শ্বাসকষ্ট, প্রেশার, সুগার রয়েছে।’ বিচারক জানান, চিকিৎসার জন্য কলকাতার কমান্ড হাসপাতালে ব্যবস্থা করতে হবে। যদি শরীর খারাপ হয়ে থাকে সঙ্গে দু’জন আইনজীবী তাঁকে দেখার জন্য যখন ইচ্ছা যেতে পারেন।