কলকাতা: রাজ্যপালের ভাষণের (Governor Speech) উপর সোমবার বক্তব্য রাখবেন মুখ্যমন্ত্রী ও বিরোধী দলনেতা। বিধানসভায় রাজ্যপালের ভাষণের উপর বক্তব্য রাখবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যপালের ভাষণ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বাজেট অধিবেশনের শুরুর দিন অর্থাৎ গত বুধবার অধিবেশন বয়কট করেছিল বিজেপির পরিষদীয় দল। রাজ্যপাল যখন বক্তব্য পাঠ করছিলেন, তখন বিজেপির বিধায়করা রীতিমতো বিরোধিতার স্লোগান দিতে থাকেন। শোনা যায় ‘শেম, শেম’ ধ্বনিও। লাগাতার সমালোচনা শোনা যায় রাজ্য বিজেপির তরফে। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় সে ছবিতে অনেকটাই বদল এসেছে। শনিবার রাজভবনে গিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। রাজনৈতিক মহলের মতে, এরপর রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে নিয়ে শাসক ও বিরোধী দলের ভাবনায় অনেকটাই বদল এসেছে।
রাজভবনে রাজ্যপাল বোসের সঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে সাক্ষাতের পরই দুর্নীতি ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ে রীতিমতো বিবৃতি দেন রাজ্যপাল। এরপরই বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, তবে কি রাজ্যপালের ব্যবহারে বদল এল? যে রাজ্যপাল বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে রাজ্য ও মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসা করেছেন, শনিবার তাঁর বিবৃতিতে সে সুর কিছুটা অমিল ঠেকেছে রাজনীতির কারবারিদের।
শনিবারই রাজভবনের তরফে বিবৃতি প্রকাশ্যে আসার পর বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে বলতে শোনা গিয়েছে, “রাজ্যপাল সঠিক রাস্তায় ফিরে আসছেন। সংবিধানের রক্ষাকর্তা হিসাবে কাজ করুন। বিশ্বাস তিনি ট্র্যাকে ফিরে আসতে শুরু করেছেন।” যদিও শাসকদল তৃণমূল এ নিয়ে এখনই খুব একটা মাথা ঘামাতে নারাজ। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, দুর্নীতি নিয়ে তাঁদের দলও তো সরব হয়েছে। রাজ্যপাল সেই কথাই তো বলেছেন।
প্রসঙ্গত, শনিবার রাজভবন থেকে বিবৃতি জারি করে বলা হয়, ‘দু’ মাস তিনি (সিভি আনন্দ বোস) এই রাজ্যে এসেছেন। তাঁর মূল লক্ষ্য হল, ভারতের সংবিধান রক্ষা করা। আইনের শাসন বলবৎ রাখা এবং বাংলার মানুষের ভাল যাতে হয় তার দিকে নজর রাখা। পঞ্চায়েত ভোটে হিংসা বরদাস্ত নয়। অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট করাতে ব্যবস্থা নিতে হবে। রাজ্য আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটেছে। পুনরায় আইন-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হবে। রাজ্যে নিয়ম মেনে লোকায়ুক্ত হয়নি।’ রাজ্যপালের কড়া বিবৃতি নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে চলছে জল্পনা। এরইমধ্যে সোমবার রাজ্য বিধানসভায় বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় দিন। এদিন রাজ্যপালের ভাষণের উপরই আলোচনা হবে।