কলকাতা: লোকসভা ভোট মিটতে না মিটতেই এবার চার বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। প্রার্থীতালিকা ইতিমধ্যেই ঘোষণা করে দিয়েছে তৃণমূল। তার মধ্যে অন্যতম চমক ছিল বাগদার প্রার্থী ঘোষণায়। টিকিট পাননি বিশ্বজিৎ দাস। বদলে তৃণমূলের তরফে এবার ভরসা রাখা হয়েছে নতুন মতুয়া-মুখের উপর। মমতাবালার কন্যা মধুপর্ণা ঠাকুরকে বাগদার উপভোটে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। গতকাল প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পরই শনিবার তৃণমূল ভবনে মমতাবালা ঠাকুর, মধুপর্ণা ঠাকুর, বিশ্বজিৎ দাসদের নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসলেন দলের বর্ষীয়ান নেতা তথা রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি।
উল্লেখ্য, বাগদা বিধানসভা আসনের প্রাক্তন বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। লোকসভা ভোটে তৃণমূল তাঁকে প্রার্থী করার পর, বিধায়ক পদে ইস্তফা দিয়েছিলেন বিশ্বজিৎ। কিন্তু এরপর ভোটে পরাস্ত হন মতুয়া সম্প্রদায়ের নেতা তথা ঠাকুরনগরের ঠাকুরবাড়ির অন্যতম বড় মুখ শান্তনু ঠাকুরের কাছে। বিধায়ক পদ আগেই ছেড়েছিলেন, তারপর ভোটে হেরে দিল্লি যাওয়ার হল না বিশ্বজিৎ দাসের। লোকসভা ভোটে পরাস্ত হওয়ার পর বিধানসভা উপনির্বাচনে বিশ্বজিৎ আবার টিকিট পাবেন কি না, সেই নিয়ে বিস্তর চর্চা চলেছে। তবে শেষ পর্যন্ত মতুয়া-মুখেই আস্থা রেখেছে তৃণমূল। বাগদা থেকে প্রার্থী করা হয়েছে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরের মেয়ে মধুপর্ণা ঠাকুরকে।
লোকসভা ভোটে হারা বিশ্বজিৎ টিকিট না পেলেও, রানাঘাট দক্ষিণ থেকে টিকিট পেয়েছেন মুকুটমণি অধিকারী। রায়গঞ্জ থেকেও টিকিট পেয়েছেন কৃষ্ণ কল্যাণী। তাঁরাও লোকসভা ভোটে পরাস্ত হওয়ার পরেও বিধানসভা উপনির্বাচনে পুনরায় টিকিট পেয়েছেন। গতকাল বাগদার প্রার্থী ঘোষণার পর বিশ্বজিৎ দাস বলেছিলেন, ‘এক্ষেত্রে মন খারাপের বিষয় নেই। দল যাঁকে প্রার্থী করেছে, তাঁর জন্য আমরা লড়াই করব। বাগদা থেকে তৃণমূলই জিতবে।’
যদিও বিশ্বজিতের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, তিনি নিজেই এবার প্রার্থী হতে চাননি। এসবের মধ্যেই শনিবার দুপুরে তৃণমূল ভবনে মমতাবালা ঠাকুর, মধুপর্ণা ঠাকুর, বিশ্বজিৎ দাসদের নিয়ে সুব্রত বক্সির এই বৈঠক যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। সূত্রের খবর, আগামিকাল থেকেই বাগদায় প্রার্থী পরিচিতির কাজ শুরু করবে তৃণমূল। তবে শনিবার তৃণমূল ভবনের এই বৈঠকে ডাক পড়েছিল রানাঘাট দক্ষিণের প্রার্থী মুকুটমণি অধিকারী, মানিকতলার প্রার্থী সুপ্তি পাণ্ডেরও। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কুণাল ঘোষও।