কলকাতা: বিধানসভায় বৃহস্পতিবার ছিল এক হাইভোল্টেজ দিন। বক্তার তালিকায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী উভয়েই। পঞ্চায়েতের হিংসার ইস্যুতে মুলতুবি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চলছিল। সেখান থেকে নাম না করে বিরোধী দলনেতাকে একহাত নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার তার পাল্টা দিলেন শুভেন্দুও। বিরোধী দলনেতার বক্তব্য়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে মেদিনীপুরের নেতা করে রেখে দিয়েছিলেন, আর বিজেপি তাঁকে রাজ্যের নেতা করেছে। সেই কারণেই বিরোধী দলনেতার নাম বলতে মমতার আপত্তি বলে দাবি শুভেন্দুর।
আজ বিধানসভায় শুভেন্দু অধিকারী বক্তব্য শেষ করার বিধানসভায় বলতে শুরু করেন মমতা। আগাগোড়া বিজেপিকে নিশানা করলেন। কিন্তু একবারও শুভেন্দুর নাম উচ্চারণ করলেন না মমতা। শুরুতে যেমন শুভেন্দুর প্রসঙ্গ বলতে গিয়ে বললেন, ‘শেষ যিনি বক্তব্য রাখলেন…’। মাঝের দিকে আবার নাম না করে শুভেন্দুকে খোঁচা দিলেন মমতা। বললেন, ‘আপনি এত বড় নেতা হলে নিজের জেলায় হারলেন কেন? জেলা পরিষদ পেলেন না। আমার নাম নিতে লজ্জা হয় । তাই নাম নিচ্ছি না । পদের নাম বলতে পারি।’
মুখ্যমন্ত্রী আজ বক্তব্য রাখার সময় বিধানসভার অধিবেশন কক্ষে তুমুল হইচই শুরু হয়ে যায়। মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভা ভোটে নন্দীগ্রামের ফলাফলের প্রসঙ্গ তুলতেই আপত্তি শুরু করে বিজেপি। তারপর বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে ওয়াকআউট করে যান বিজেপির বিধায়করা। পরে বিধানসভায় সাংবাদিক বৈঠকে মমতার নাম না করে আক্রমণের জবাব দিলেন শুভেন্দু। বিরোধী দলনেতার বক্তব্য, ‘আমাকে বিরোধী দলনেতা বলতেও ওনার (মমতার) আপত্তি। আমাকে উনি মেদিনীপুরের নেতা করে রেখেছিলেন। আর বিজেপি আমাকে রাজ্যের নেতা করে দিয়েছেন। তাই এত কষ্ট। তাই মুখে নাম আনছেন না। ভাববাচ্যে কথা বলছেন।’