কলকাতা: কারোর ঢাল, কারোর তলোয়ার। কেউ বা নিধিরাম সর্দার। উত্তর পূর্বাঞ্চলের ছোট্ট একটি রাজ্য মণিপুর এখন গোটা দেশের রাজনীতির কেন্দ্রে। সংসদের অনাস্থার ইস্যু এই মণিপুর। আবার বিধানসভাতেও নিন্দা প্রস্তাবের ইস্যু মণিপুর। সোমবার থেকে সংসদীয় ও পরিষদীয় রাজনীতি হাত শেঁকবে মণিপুরের উত্তাপে। রবিবারই ছিল ঝড়ের আগে একটা অদ্ভুত নিঃস্তব্ধতা। ইম্ফল থেকে দিল্লি হয়ে কলকাতা। প্রস্তুতি সর্বত্রই। সোমবার বিধানসভায় মণিপুর নিয়ে নিন্দা প্রস্তাব আনবে তৃণমূল। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে ২ ঘণ্টা আলোচনাও হবে। তেঁতে উঠতে পারে অধিবেশন। বিরোধী বক্তার তালিকায় মূল আকর্ষণ রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপির বক্তা তালিকায় সংখ্যায় ভারী মহিলা বিধায়করা। সূত্রের খবর, এক্ষেত্রে বিরোধীরা বাংলার নারী নির্যাতনের খতিয়ান পেশ করবে। মণিপুরের সঙ্গেই বাংলার নারীদের কথা বলবে বিজেপি।
ইতিমধ্যেই মণিপুরে প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছে তৃণমূল। তা নিয়ে বিরক্ত রাজ্যের বিজেপি নেতৃত্ব। তাঁদের বক্তব্য, ভোট পূর্ববর্তী ও পরবর্তী পর্যায়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে হিংসা, নারী নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। হাওড়ার পাঁচলা, ডোমজুড়-সহ একাধিক জায়গায় নারী নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। সেই বিষয়ে কেন রাজ্য সরকারের তরফে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। এর আগে এই ইস্যুতে মুলতুবি প্রস্তাবও জমা দিয়েছে বিজেপি। কিন্তু তা নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। সে সময়ে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগ তুলেছিল বিজেপি। এবার আবারও সেই আলোচনাই চাইছে বিজেপি।
রবিবার শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “মণিপুরে কী সন্ত্রাস চলছে, তার আগে তো বাংলা নিয়ে আলোচনা হবে। বিধানসভায় দেখা যাবে।” তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যেখানে বিদেশে গিয়েও আলোচনা করেন, সেখানে মণিপুরের এত বড় ইস্যুতে চুপ কেন? আজ বিধানসভায় দু’পক্ষই নারী নির্যাতনের ইস্যুতে সরব হবে, প্রেক্ষাপট আলাদা।