কলকাতা: বিরোধীহীন বৈঠকেই মুখ্য তথ্য কমিশনার হলেন প্রাক্তন ডিজি বীরেন্দ্র। এর আগে দশ জনের যে কমিটি ছিল, তাতে তিনি এক জন সদস্য ছিলেন। মুখ্য তথ্য কমিশনার নিয়োগ ঘিরে বুধবার বিধানসভায় একটি বৈঠক ডাকা হয় । ওই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী , পরিষদীয় মন্ত্রী এবং বিরোধী দলনেতা থাকার কথা ছিল । এদিনের বৈঠকের সবথেকে উল্লেখযোগ্য দিক ছিল, এদিন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর উপস্থিত থাকার কথা ছিল। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব বি পি গোপালিকা কে চিঠি দিয়ে জানান, তিনি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে থাকতে পারছেন না। বৈঠক শুরুর দেড় ঘণ্টা আগেই বিরোধী দলনেতা চিঠি দিয়ে জানান , যে বৈঠক সংক্রান্ত তথ্য বা নথি আমন্ত্রণপত্রের সঙ্গে দেওয়া হয়নি। একই সঙ্গে তথ্য কমিশনার নিয়োগ ঘিরে সর্ব ভারতীয় সংবাদপত্রে কোনও বিজ্ঞাপন দেওয়া হইনি । এই আপত্তির কথা জানিয়ে তথ্য কমিশনার নিয়োগকে দুর্নীতি বলে আখ্যা দিয়েছেন শুভেন্দু । বুধবার বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় মুখ্য তথ্য কমিশনার হিসাবে মুখ্যমন্ত্রী ঘনিষ্ঠ আইপিএস বীরেন্দ্রের নাম ঘোষণা করেন।
প্রসঙ্গত, এই পদটি গত ৬ মাস ধরে খালি পড়ে ছিল। চলতি বছর ১৫ জন এই পদের জন্য আবেদন করেন। তাঁদের মধ্যে পাঁচ জন বয়স ও শিক্ষাগত মাপকাঠিতে আটকে যাওয়ায় বাদ গিয়েছেন। বাছাই শুরু হয় বাকি ১০ জনের মধ্যে। নিয়ম অনুযায়ী, মুখ্য তথ্য কমিশনার নিয়োগের ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানে বিরোধী দলনেতা ও পরিষদীয় মন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠক হয়। বুধবারও বিধানসভায় বৈঠক হয়। কিন্তু সেই বৈঠকে ছিলেন না শুভেন্দু অধিকারী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন বীরেন্দ্র। তিনি রাজ্য পুলিশের ডিজি হন পরে। অবসরের পর তিনি তথ্য কমিশনারের অধীন কমিটির সদস্য ছিলেন । বুধবার বীরেন্দ্রকে মুখ্য কমিশনার পদে মনোনীত করা হয়। বীরেন্দ্র র নাম ঘোষণার পর এই নিয়োগ অবৈধ বলে মন্তব্য করেন বিরোধী দলনেতা ।
এদিনে পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, “শুভেন্দু অধিকারী যে প্রশ্ন তুলেছেন, তা যথাযথ নয়। মোট ১৫ দিনের নোটিস ছিল, তিন দিন পর নোটিস রিরাইট করা হয়। হাতে ১২ দিন ছিল। মোট ১৫ টি আবেদনকারী ছিলেন। তার মধ্যে ৪ জন শিক্ষাগত যোগ্যতার কারণে বাদ যান, ১ জন বয়সের কারণে। ১০ জনের মধ্যে মনোনয়ন হয়।”