কলকাতা: মুখ খুলতে শুরু করেছেন দলের বিধায়করা। আর তা নিয়ে কিছুটা অস্বস্তিতে পড়তে হচ্ছে তৃণমূল শিবিরকে। এমন অবস্থায় এবার পরিষদীয় শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি তৈরি করল রাজ্যের শাসক শিবির। পরিষদীয় শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির নেতৃত্বে থাকবেন বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। এছাড়া কমিটিতে থাকছেন ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও বীরবাহা হাঁসদা। দলের নেতা-কর্মীদের জন্য আগে থেকে একটি শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি ছিল তৃণমূলের। তবে এবার বিধানসভাতেও পরিষদীয় দলের জন্য শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি গঠন করল শাসক শিবির। বিধানসভার অন্দরে এই প্রথমবার এমন কোনও কমিটি গঠন করল তৃণমূল।
উল্লেখ্য, বিধানসভার চলতি অধিবেশনের সময়েই ডেবরার তৃণমূল বিধায়ক তথা প্রাক্তন আইপিএস হুমায়ুন কবীর লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে মুখ খুলেছিলেন বিধানসভার অধিবেশন কক্ষে। রাজ্যের মুসলিম মহিলাদেরও যাতে তফসিলি জাতি ও উপজাতির মহিলাদের মতো মাসে এক হাজার টাকা করে দেওয়া হয়, সেই আর্জি জানিয়েছেন তিনি। রাজ্যের সংখ্যালঘু মহিলাদের আর্থিক অবস্থা যে ভাল নয়, সেই কথাও বলেছিলেন। দলের বিধায়কের মুখে বিধানসভার ভিতরে এমন মন্তব্য বেশ বেকায়দায় ফেলেছিল তৃণমূল শিবিরকে।
যদিও রাজ্যের নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা বিধানসভার অধিবেশন কক্ষেই স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন, ধর্মের ভিত্তিতে এই পদক্ষেপ করা সম্ভব নয়। পরে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের কথা থেকেও স্পষ্ট যে বিধায়কের এই মন্তব্য মোটেই ভাল ভাবে দেখছে না তৃণমূল শিবির। বিধায়কের প্রসঙ্গে কুণাল বলেছিলেন, না পোষালে চলে যাওয়ার জন্য। কেউ যে হুমায়ুন কবীরকে জোর করে দলে আটকে রাখেননি, সেকথাও স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন কুণাল। আর এইসবের মধ্যেই এবার বিধানসভাতেও তৃণমূলের পরিষদীয় দলের জন্য শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি গঠন করা হল।