কলকাতা : জিটিএ নির্বাচন নিয়ে এবার কি হাইকোর্টে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিজেপি? বুধবার এমনই ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর সাফ কথা, “জিটিএ কখনও পাহাড় সমস্যার সমাধান নয়। একমাত্র ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ব্যবস্থার মাধ্যমেই পাহাড় সমস্যার সমাধান হতে পারে বলে আমাদের বিশ্বাস। পরবর্তী সময়ে এই নিয়ে আমরা উচ্চ আদালতে যাব কি না, তা আপনাদের জানিয়ে দেব।” উল্লেখ্য, পাহাড়ের ভোটের দিনক্ষণ ইতিমধ্যেই ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। ২৬ জুন পাহাড়ে জিটিএ নির্বাচন রয়েছে। ২৯ জুন হবে ভোট গণনা। তা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিমল গুরুং ইতিমধ্যেই পাহাড়ে জিটিএ নির্বাচনের প্রতিবাদে অনশন শুরু করে দিয়েছেন।
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী মঙ্গলবারই জিটিএ নির্বাচন নিয়ে রাজ্য সরকারকে একহাত নিয়েছেন। জিটিএ নির্বাচনের সিদ্ধান্তকে কড়া ভাষায় সমালোচনা করে শুভেন্দু বলেছিলেন, “জিটিএর সঙ্গে গোর্খাদের কোনও সম্পর্ক নেই। কোনও দল, যারা পাহাড়কে প্রকৃত ভালবাসে, তারা জিটিএতে লড়বে না। ২০১৩ সাল থেকে তৈরি হওয়া জিটিএ বেআইনি এবং টাকা মারার একটা জায়গা। তৃণমূল এবং তৃণমূলের সাজানো কিছু লোকের ভাগ বাটোয়ারার জায়গা।” এবার শুভেন্দু অধিকারীর সুরেই সুর মিলিয়ে রাজ্যের শাসক দলকে ফের একপ্রস্থ নিশানা শানালেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
পাহাড়ের রাজনীতির দিকে যদি নজর রাখা যায়, তাহলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন পাহাড় সফরে গিয়েছিলেন, তখন থেকেই এই জিটিএ ঘিরে জটের বিষয়টি উঠে এসেছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদিও বলেছিলেন বৈঠক ফলপ্রসু। তবে পাহাড়ের আঞ্চলিক দলগুলির মধ্যে জিটিএ নির্বাচন ঘিরে বেশ দ্বিমত উঠে এসেছিল। মমতার উত্তরবঙ্গ সফরের কিছুদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছিলেন কালিম্পংয়ের বিধায়ক রুদেন লেপচা। তিনি অনিত থাপার অনুগামী হিসেবেই পাহাড়ের রাজনীতিতে পরিচিত। মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠানো সেই চিঠিতে তিনি দাবি করেছিলেন, জিটিএ থেকে কালিম্পংকে আলাদা করে দেওয়া হোক। জিটিএ নির্বাচন ঘিরে এমন এক পরিস্থিতির মধ্যেই বঙ্গ বিজেপির সভাপতির এই হাইকোর্টের যাওয়ার ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য ঘিরে ফের শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে।