Sukanta Majumdar: টাকা দিলেই জেল থেকে ছাড়া? বন্দিমুক্তি ঘিরেও ‘চরম দুর্নীতির’ অভিযোগ বিজেপির

Anjan Roy | Edited By: Soumya Saha

Aug 15, 2023 | 3:11 PM

Sukanta Majumdar: সুকান্ত মজুমদারের অভিযোগ,পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে তৃণমূলের নেতাদের মাধ্যমে পুলিশের আধিকারিকদের কাছে টাকা পৌঁছে দিলেই বন্দি মুক্তি হয়ে যায়।

Sukanta Majumdar: টাকা দিলেই জেল থেকে ছাড়া? বন্দিমুক্তি ঘিরেও চরম দুর্নীতির অভিযোগ বিজেপির
সুকান্ত মজুমদার
Image Credit source: নিজস্ব চিত্র

Follow Us

কলকাতা: রাজ্যে সংশোধনাগার থেকে বন্দিমুক্তি নিয়েও দুর্নীতি? এবার এমনই অভিযোগ তুললেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর বক্তব্য, ‘বন্দিমুক্তি নিয়ে চরম দুর্নীতি হচ্ছে।’ কিন্তু কেন হঠাৎ এমন অভিযোগ তুলছেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি? সুকান্তর বক্তব্য়, প্রতিটি রাজ্যে কোন বন্দিরা মুক্তি পাবেন, তা স্থির করার জন্য একটি করে স্ক্রিনিং কমিটি থাকে। সেই স্ক্রিনিং কমিটিতে সমাজের বিভিন্ন মহলের গণমান্য ব্যক্তিরা থাকেন। কিন্তু বাংলার ক্ষেত্রে বন্দিমুক্তির বিষয়টি স্থির করতে এমন কোনও স্ক্রিনিং কমিটি নেই বলেই দাবি বিজেপির রাজ্য সভাপতির।

সুকান্ত মজুমদারের অভিযোগ,পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে তৃণমূলের নেতাদের মাধ্যমে পুলিশের আধিকারিকদের কাছে টাকা পৌঁছে দিলেই বন্দি মুক্তি হয়ে যায়। বললেন, ‘যে পরিবাররা স্থানীয় স্তরে তৃণমূলের নেতাদের ধরে পুলিশের আধিকারিকদের পয়সা দেয়, সেই পরিবারের সদস্যদের বন্দিমুক্তি হয়। যে পরিবারের লোকেরা পয়সা দিতে পারেন না, তাঁদের পরিবারের কেউ ছাড়া পান না। এই দুর্নীতি রাজ্যপাল ধরে ফেলেছেন।’ বিজেপির রাজ্য সভাপতির আরও দাবি, এই দুর্নীতি নিয়েও যদি সিবিআই তদন্ত হয়, তাহলেও অনেক তথ্য বেরিয়ে আসবে।

উল্লেখ্য, সংশোধনাগারে বন্দিদের আচার-আচরণের উপর ভিত্তি করে কোন কোন বন্দি মুক্তি পাবেন, সেই তালিকা তৈরি করা হয়। বছরে দু’বার এই বন্দিমুক্তির তালিকা বানানো হয়। স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে এবং সাধারণতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে। কিন্তু অগস্টের শুরুতেই নবান্ন থেকে পাঠানো বন্দিমুক্তির তালিকা ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছিল রাজভবন। সূত্রের খবর, কীসের ভিত্তিতে ওই তালিকা তৈরি হয়েছিল, তার ব্যাখ্যা জানতে চেয়েছিলেন রাজ্যপাল।

প্রসঙ্গত, বন্দিমুক্তির তালিকা রাজভবন থেকে ফেরত পাঠানো প্রসঙ্গে এদিন রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করা হয়েছিল। তাঁর বক্তব্য, ‘বন্দিমুক্তি নিশ্চয়ই হওয়া উচিত বলে আমি মনে করি।’ অন্যদিকে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘রাজ্যপাল রাজ্যপালের কাজ করবেন। তাঁর ভূমিকা আমার দেখার কিছু নেই। বন্দিমুক্তির তালিকা যদি গিয়ে থাকে তাঁর কাছে, সেটি খতিয়ে দেখার অধিকার তাঁর নিশ্চয়ই রয়েছে। এই নিয়ে আমি কিছু মন্তব্য করব না।’

 

Next Article