West Bengal BJP : করোনার মৃতদের কতজনের পরিবার ক্ষতিপূরণ পেয়েছে? শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি বিজেপির
Compensation for families of COVID Victims: বিজেপির দাবি, "করোনায় মৃতদের মধ্যে কতজনের পরিবারের কাছে টাকা বা চাকরি দিয়েছে রাজ্য? আমরা দাবি করছি , শ্বেতপত্র প্রকাশ করা হোক।"
কলকাতা: রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি (COVID 19 Situation in West Bengal) নিয়ে এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে কড়া আক্রমণ শানাল বঙ্গ বিজেপি শিবির। বুধবার বঙ্গ বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য (Samik Bhattacharya) বলেন, “রহস্যজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। করোনার মৃত পরিবারের আবেদন সঠিক সংখ্যার সঙ্গে মিল নেই। আবেদন করার জন্য প্রয়োজনীয় নথি রাজ্য সরকার দিচ্ছে না। করোনায় মৃতদের মধ্যে কতজনের পরিবারের কাছে টাকা বা চাকরি দিয়েছে রাজ্য? আমরা দাবি করছি , শ্বেতপত্র প্রকাশ করা হোক।” উল্লেখ্য, রাজ্যের একাধিক এলাকায় করোনার আক্রান্তের সংখ্যায় তারতম্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একাংশ। এবার সেই নিয়ে সরব হয়েছে বঙ্গ বিজেপিও। শমীক ভট্টাচার্য অভিযোগ করেনস রাজ্যে বহু জায়গায় ঠিক মতো করোনা পরীক্ষা হচ্ছে না।
রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে মমতার সরকারকে একহাত নিল বিজেপি
কিছুদিন আগেও রাজ্যে যেখানে ৭০ হাজারের উপর দৈনিক করোনা পরীক্ষা হচ্ছিল, এখন তা এক ধাক্কায় অনেকটা কমে এসেছে। আর এই নিয়েই এবার তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কড়া আক্রমণ শানালেন শমীক। তাঁর বক্তব্য, “অভিষেক বললেন ,পজিটিভিটি রেট ৩০ শতাংশ থেকে কমাতে হবে। তারপর থেকেই এই রাজ্যে করোনা পরীক্ষা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। ক’টা অস্কিজেন প্ল্যান্ট হয়েছে এই রাজ্যে ? অথচ পিএম ফান্ড থেকে রাজ্য টাকা পেয়েছে। করোনার জন্য সব সরকারি হাসপাতালে অন্য অসুখের চিকিৎসা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এই সব বাদ দিয়ে এখন ট্যাবলো নিয়ে বিতর্ক করছে রাজ্য।” নাইসেডে রাজ্যের থেকে করোনা পরীক্ষা করানোর জন্য কম নমুনা পাঠানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ করছে বঙ্গ বিজেপি। রাজ্য সরকারের থেকে মাত্র এক হাজার নমুনা করোনা পরীক্ষা করতে পাঠানো হচ্ছে।
মুকুল রায় প্রসঙ্গেও সরব বঙ্গ বিজেপি
এর পাশাপাশি মুকুল রায় প্রসঙ্গেও আজ সরব হন বঙ্গ বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “ভারতীয় পরিষদীয় ব্যবস্থাকে একটা হাস্যকর জায়গায় নিয়ে যাচ্ছে তৃনমূল কংগ্রেস। উনি (মুকুল রায়) মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে পতাকা নিয়েছেন। এটা ভুলে যাবেন না। আমরা যে কোনও মূল্যে মুকুল রায়কে পিএসি চেয়ারম্যান পদে থাকতে দেব না। তাকে বিধায়কও থাকতে দেব না।” এ ছাড়া কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রসঙ্গেও সরব হন শমীক। তাঁর দাবি, গত দশ বছরে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে কত টাকা রাজ্য সরকারের দিয়েছে – তা প্রকাশ করা হোক। আর কত মামলা জিতেছেন , তাও প্রকাশ করা হোক।”