কলকাতা: বড় বিতর্কে নাম জড়াল বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar)। ধর্ষণের ঘটনায় কোনওভাবেই নির্যাতিতার নাম উল্লেখ করা যায় না। এটা আইন বিরুদ্ধ। অথচ সেই ঘটনাই ঘটালেন বঙ্গ বিজেপির মুখ সুকান্ত মজুমদার। দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জে এক নির্যাতিতার নাম উল্লেখ করে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন তিনি। অথচ সুপ্রিম কোর্টের নিয়ম অনুযায়ী, এটা করা যায় না। স্বভাবতই এ নিয়ে বিতর্কের ঝড় ওঠে। এরপরই তড়িঘড়ি টুইটটি সরানো হয়। তবে ততক্ষণে টুইটের স্ক্রিন শট ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। এই ঘটনার তীব্র নিন্দায় সরব হয় শাসকদল। তাদের তোপ, সমস্ত কিছু নিয়ে রাজনীতি করতে গিয়ে বিজেপি নিজেদের এক্তিয়ারও ভুলে যাচ্ছে। সে কারণেই এমন অবিমৃষ্যকারিতার পরিচয় দিচ্ছেন সে দলের নেতারা। যদিও সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্য, তাঁর সোশাল মিডিয়া টিম এই ভুল করেছে। সে কারণে অনুতাপও প্রকাশ করেন সুকান্ত।
সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আমার অফিস থেকে ভুল হয়েছে। আমি বলেছি সেটা ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। এটা তো করা যায় না। আমাদের তরফেই ভুল হয়েছে। আমার সোশাল মিডিয়া যাঁরা দেখেন, তাঁরা ভুল করেছেন এবং গর্হিত অপরাধ করেছেন। সে জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী।” যদিও এই প্রথমবার নয়, এর আগেও বিজেপির ‘ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি’র এক সদস্যর বিরুদ্ধেও এরকমই এক অভিযোগ ওঠে। এবার সেই বিতর্কে বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
এ প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, “আসলে সুকান্ত মজুমদার যে অনভিজ্ঞ লোক তা তো বিজেপির আগের সভাপতি দিলীপ ঘোষই বলেছেন। সেই কারণে সমস্ত পরিস্থিতিতেই তাঁর অনভিজ্ঞতা বেরিয়ে আসছে। এমন এমন জায়গায় তিনি কথা বলছেন বা টুইট করছেন যেগুলো সম্পূর্ণভাবে সমাজ জীবনে খারাপ প্রতিক্রিয়া ফেলে। একজন ধর্ষণের শিকার হয়েছেন, অথচ তাঁর নাম টুইটারে লিখে ফেলা হল, আর তা বিজেপির রাজ্য সভাপতি লিখলেন এটা খুব লজ্জার।”