কলকাতা: ২০১৪ সালের টেট (TET 2014) উত্তীর্ণ প্যানেলভুক্তদের প্রাপ্ত নম্বরের ব্রেক-আপ সোমবারই প্রকাশ করেছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ (Primary Education Board)। আর সেখানেই বিভ্রান্তি। এক টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীর উচ্চমাধ্যমিকে প্রাপ্ত নম্বরের হিসেব সেখানে দেখা যাচ্ছে ১০৯ শতাংশ। সেই খবর আগেই প্রকাশ করেছিল টিভি নাইন বাংলা। খবর প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে যায় চারিদিকে। আর এবার সেই বিতর্কের মধ্যেই ভুল সংশোধনে উদ্যোগী হল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। প্রকাশ করা হবে সংশোধিত নম্বর। ১১ ডিসেম্বর টেটের পরেই ভুল সংশোধন করে সংশোধিত নম্বর প্রকাশ করবে পর্ষদ। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে মঙ্গলবার এই কথা জানিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
পর্ষদের তরফে প্রকাশিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ অনুযায়ী ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ প্যানেলভুক্তদের প্রাপ্ত নম্বরের ব্রেকআপ ২৮ নভেম্বর প্রকাশ করেছিল পর্ষদ। সেই তালিকা প্রকাশ করার পর দেখা গিয়েছে প্রকাশিত তালিকায় বেশ কিছু ভুল রয়েছে। যেহেতু, ১১ ডিসেম্বর টেট পরীক্ষা রয়েছে, তাই ১১ তারিখের পরে এই ভুল সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে এবং বোর্ডের ওয়েবসাইটে পরবর্তী সময়ে তা প্রকাশ করা হবে।
উল্লেখ্য, টেট ২০১৪ প্যানেলভুক্তদের প্রাপ্ত নম্বরের ব্রেক-আপে এক চাকরিপ্রার্থীর উচ্চমাধ্যমিকের নম্বর নিয়ে বিভ্রান্তির বিষয়ে পর্ষদের উপসচিব পার্থ কর্মকার আগেই এই সংক্রান্ত বিষয়ে ভুলের কথাটি স্বীকার করে নিয়েছিলেন। উচ্চমাধ্যমিকে কেউ যত নম্বর পান, মোট নম্বর ১০-এর নিরীখে তাঁর প্রাপ্ত নম্বর যত হবে, সেটি টেটের ওই তালিকায় স্থান পায়। সেক্ষেত্রে দশের বেশি কারও নম্বর হওয়ার কথা নয়। কিন্তু ওই চাকরিপ্রার্থীর প্রাপ্ত নম্বর দেখানো হচ্ছিল ১০.৯৬০। সেই বিষয়ে পার্থ কর্মকার জানিয়েছিলেন, “উচ্চমাধ্যমিকে দশের থেকে বেশি কেউ কেউ দেখতে পাচ্ছি। বোর্ডের তরফে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছি। কারণ দশের থেকে বেশি তো কেউ হতে পারে না। নিশ্চয়ই কোথাও একটা ভুল হয়েছে, প্রযুক্তিগত কোনও ভুল হতে পারে। সেটি আমরা ঠিক করার চেষ্টা করছি।”
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের উপসচিবের সেই প্রতিক্রিয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এবার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করল পর্ষদ। জানানো হল, ১১ ডিসেম্বরের পর এই সংক্রান্ত বিষয়ে পদক্ষেপ করা হবে।