কলকাতা: গ্রুপ ডি কর্মীদের (Group D) চাকরি বাতিলের ফলে মাধ্যমিক (Madhyamik Examination) ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার (H.S Examination) ক্ষেত্রে সমস্যার আশঙ্কা আগে থেকেই করছিল বিভিন্ন মহল। টিভি নাইন বাংলায় এই সংক্রান্ত প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়েছিল। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, সম্ভব্য সমস্যার আশঙ্কা করে সমীক্ষা করেছে মধ্য শিক্ষা পর্ষদও (West Bengal Board of Secondary Education)। সামনেই মাধ্যমিক পরীক্ষা। হাতে গোনা কয়েকটা দিন বাকি। সূত্রের খবর, সেই পরীক্ষা পরিচালনার ক্ষেত্রে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট ডিআইদের ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে মধ্য শিক্ষা পর্ষদ।
হাইকোর্টের নির্দেশে কোপ পড়েছে ১ হাজার ৯১১ জনের গ্রুপ ডি কর্মচারীর চাকরিতে। স্কুল সার্ভিস কমিশনের ওয়েবসাইটে সেই ১ হাজার ৯১১ জনের নামের তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছিল। আর সেই থেকেই মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা পরিচালনার ক্ষেত্রে সমস্যা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল বিভিন্ন মহলে। কারণ, এমন অনেক স্কুল রয়েছে, যেখানে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের পরীক্ষার সিট পড়ে, সেই সব স্কুলেরও গ্রুপ ডি কর্মীরা রয়েছেন। ১ হাজার ৯১১ জনের চাকরি বাতিলের কতটা প্রভাব মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরিচালনার উপর পড়বে, তা নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, রাজ্যে এমন স্কুলও রয়েছে যেখানে একজন মাত্র গ্রুপ ডি কর্মী। সেক্ষেত্রে যদি ওই স্কুলের একমাত্র গ্রুপ ডি কর্মীর নিয়োগ সুপারিশে ভুল থাকার কারণে চাকরি বাতিল হয়ে যায়, তাহলে মাধ্যমিকের পরীক্ষার খাতা এগিয়ে দেবে কে? এমন প্রশ্নও ঘুরপাক খাচ্ছিল। যদিও মধ্য শিক্ষা পর্ষদের তরফে সেই সময়েই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনও কারণ নেই। কোনও সমস্যা হবে না বলেও আশ্বস্ত করা হয়েছিল। তবে বিষয়টিকে যে কম গুরুত্ব দিয়ে দেখছে না মধ্য শিক্ষা পর্ষদ, তা বোঝাই যাচ্ছে। কারণ, একটি মাধ্যমিক পরীক্ষাকেন্দ্রে স্কুল গ্রুপ ডি কর্মীর দায়িত্ব নেহাৎ কম নয়। তাই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে যাতে মাধ্যমিক পরীক্ষায় কোনও সমস্যা না হয়, তা নিশ্চিত করতে ডিআইদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পর্ষদের তরফে।