কলকাতা: মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ (DA) মামলার শুনানি শেষ হল। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। রায়দান স্থগিত রাখা হয়েছে। এদিন শুনানি চলাকালীন বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন প্রশ্ন করেন, ২০১০ সাল পর্যন্ত বছরে দু’বার ডিএ দেওয়া হত। কেন সেটা বন্ধ হয়ে গেল? রাজ্যের তরফে জবাব দেওয়া হয়, এই সিদ্ধান্ত একমাত্র বিধানসভা নিতে পারে। এদিন দুই পক্ষের প্রশ্নোত্তরপর্ব শেষে ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, মূল্যবৃদ্ধির নিরিখে ডিএ দেওয়া উচিত। যদিও রাজ্যের বক্তব্য, এ বিষয় যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেবে প্রশাসনই। ২০১৬ সালে রাজ্য সরকারি কর্মচারী পরিষদ ডিএ মামলা দায়ের করেছিল। সেই থেকে এই মামলা ঘুরেই চলেছে। স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনাল বা স্যাট থেকে কখনও হাইকোর্টে মামলা যায়। কখনও আবার হাইকোর্ট থেকে ট্রাইবুনালে যায়। এরইমধ্যে সরকারি কর্মচারী সংগঠন প্রশ্ন তোলে, কেন কেন্দ্র সরকারের কর্মচারীদের তুলনায় রাজ্যের কর্মচারীরা কম ডিএ পাবেন? এই সব নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরেই জটিলতা চলছে। আশা করা হচ্ছে, এবার একটা সুরাহা মিলতে পারে।
ডিএ মামলা যখন শুরু হয়েছিল, গোড়ার দিকে ট্রাইবুনালের পর্যবেক্ষণ ছিল, ডিএ রাজ্যের ‘দয়ার দান।’ এটা রাজ্য চাইলে দিতে পারে, চাইলে না-ও দিতে পারে। পরবর্তী সময় সেই মন্তব্যকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সরকারি কর্মচারীরা আদালতের দ্বারস্থ হন। তাতে জয়ও আসে। এরপরও এজলাসে শুনানির সময় একাধিকবার এই বিষয়টি ঘুরে ফিরে এসেছে।
রাজ্য সরকারের সমস্ত কর্মীকে বকেয়া ডিএ দেওয়া নিয়ে একটি নির্দেশিকা জারি হয়েছিল। তারই পাল্টা রাজ্য রিভিউ পিটিশন দাখিল করে। শুক্রবার সেই শুনানি শেষ হল। হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ অবশ্য বৃহস্পতিবারই জানিয়েছিল, ডিএ পাওয়ার অধিকার নিয়ে কোনও বিতর্কের অবকাশই নেই। শুক্রবার আদালত জানায়, মূল্যবৃদ্ধির নিরিখে সকলেই ডিএ পাওয়া উচিৎ। শুনানিপর্ব শেষ। এবার রায়দানের অপেক্ষায় সরকারি চাকুরিজীবীরা।