কলকাতা: রাজ্য সরকারের কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা সংক্রান্ত মামলার শুনানি শেষ হল শুক্রবার। রায়দান স্থগিত রাখা হয়েছে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের তরফে। রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি দফতরের কর্মীরা তাঁদের বকেয়া ডিএর দাবিতে আদালতে মামলা করেন। মামলাকারীদের বক্তব্য, এই বকেয়া মহার্ঘ ভাতার কারণে কেন্দ্রীয় দফতরের কর্মীদের সঙ্গে রাজ্যের সরকারি কর্মীদের ডিএ-র ফারাক বেড়েই চলেছে। আদালতও তিন মাসের মধ্যে বকেয়া ডিএ ফেরানোর নির্দেশ দেয়। তবে এখনও তা পাননি সরকারি কর্মীরা। অন্যদিকে নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আবেদন জানিয়ে আদালতে যায় রাজ্যও।
দু’টি মামলার রয়েছে এই বকেয়া ডিএ সংক্রান্ত। একটি রিভিউ পিটিশন, অন্যটি আদালত অবমাননা। প্রথমটির শুনানি শেষ। এখনও আদালত অবমাননার মামলার শুনানি বাকি আছে। আদালত অবমাননার মামলাটি করেছেন সরকারি কর্মচারীরা। রিভিউ পিটিশন অর্থাৎ রায় পুনর্বিবেচনার আর্জিটি করেছে রাজ্য সরকার।
রাজ্যের প্রথম থেকেই বক্তব্য, কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়া সম্ভব নয়। অন্যদিকে বিভিন্ন সরকারি কর্মচারী সংগঠনের পক্ষ থেকে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য, আইনজীবী কল্লোল মণ্ডলের বক্তব্য, এই নিয়ে রাজ্যের তৃতীবারের রিভিউ পিটিশন। এটা সময় নষ্ট ছাড়া কিছুই নয়। ডিভিশন বেঞ্চও ইতিমধ্যেই প্রতিটি ক্ষেত্র ধরে ধরে বুঝিয়ে দিয়েছেন, কেন ডিএ সরকারি কর্মীদের প্রাপ্য। দু’দিন ধরে রিভিউ পিটিশনের মামলা চলার পর এদিন আদালত শুনানি শেষ করে। এরপর রায়দানের অপেক্ষা।
অন্যদিকে এদিন বিদ্যুৎ দফতরের ডিএর শুনানি হয় বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে। বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা ২০২০ সাল থেকে বকেয়া থাকা নয়া হারে ডিএ কবে পাবেন তাই নিয়ে সন্দিহান। কারণ, শুক্রবার সেই সংক্রান্ত মামলা বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের আবেদনে পিছিয়ে দিয়েছে আদালত। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ, পুজোর ছুটির পড়ে ১১ নভেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি। এদিন কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়, আদালতের নির্দেশ মেনে রোপা ২০০৯ অনুযায়ী ২০১৯ সাল পর্যন্ত বকেয়া ডিএ আর দু’টি দফায় ২১ অক্টোবর পর্যন্ত মিটিয়ে দেওয়া হবে। বিদ্যুৎ দফতর কর্তৃপক্ষ তারপরই তাদের রিভিউ মামলাটির শুনানি পুজোর ছুটির পর করার আবেদন জানায়।