কলকাতা: বিচারব্যবস্থা নিয়ে সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য ঘিরে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা গ্রহণের আর্জি জানানো হয় হাইকোর্টে। সেই মামলা সম্পর্কে আদালতের পর্যবেক্ষণ, কেউ আদালতের সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করলেই তার মর্যাদা ক্ষুন্ন হয়, এতটা সস্তা এই বিচারবিভাগীয় প্রতিষ্ঠান নয়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যে এই মূহুর্তে কোনও স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ নয় ডিভিশন বেঞ্চের। এই মূহুর্তে তার কোনও কারণ খুঁজে পায়নি আদালত। আদালতের পর্যবেক্ষণ, যেই হোন না কেন, এমন কী সাংসদদের প্রতিটি মন্তব্যের ক্ষেত্রেও যদি গুরুত্ব দেওয়া হয় সেক্ষেত্রে বিচার ব্যবস্থা চলতে পারে না।
শনিবারই হলদিয়ায় দলীয় এক কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে বিচারব্যবস্থার ‘এক শতাংশের’ বিরুদ্ধে সুর চড়ান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে। এই নিয়ে রাজ্যপাল মুখ্যসচিবকে পদক্ষেপ করার নির্দেশও দেন। আগামী ৬ জুনের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন। এরইমধ্যে সোমবার দুই আইনজীবী স্বতঃপ্রণোদিত মামলা গ্রহণের আর্জি জানান হাইকোর্টে। হাইকোর্ট দুই আইনজীবীকে মামলা দায়েরের অনুমতিও দেন। সেই মামলার শুনানি শুরু হয় দুপুর ২টো নাগাদ।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য আদালতে ফোনের মাধ্যমে শোনানো হয়। সেই শুনানি চলাকালীন আদালতের পর্যবেক্ষণ, আদলতের বিরুদ্ধে মন্তব্য করলেই তার মর্যাদা ক্ষুন্ন হয় এতটা সস্তা আদালত নয়। একইসঙ্গে আদালতের বার্তা জনস্বার্থের কথা ভাবতে হবে চেজনপ্রতিনিধিদের। বিচারব্যবস্থা সম্পর্কে মন্তব্য করার সময় সচেতন থাকবেন জনপ্রতিনিধি। রাজনৈতিকমহলের মতে, এই পর্যবেক্ষণ শুধু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্যই কার্যকর এমন নয়, সকল জনপ্রতিনিধির ক্ষেত্রেই এটা একটা বার্তা কলকাতা হাইকোর্টের।