কলকাতা: আপাতত জেল হেফাজত থেকে মুক্তি নেই অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal)। অন্তত আগামী ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেলেই থাকতে হবে অনুব্রতকে। বুধবার অনুব্রত মণ্ডলের জামিন মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। সেই জামিন মামলায় সময় চাইল সিবিআই (CBI)। এর জেরে শুনানি পিছিয়ে যায়। ১৬ ডিসেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। এদিন অনুব্রতর হয়ে সওয়াল করেন বর্ষীয়ান আইনজীবী কপিল সিব্বল। পাল্টা হলফনামা দেওয়ার জন্য সময় চায় সিবিআই (CBI)। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর এজলাসে এদিন মামলাটি ওঠে। এদিন বিচারপতি জানতে চান, ক’টি মামলা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে? সিবিআই জানায়, দু’টি। পিএমএলএ মামলায় ১৭ নভেম্বর থেকে জেলে আছেন তিনি। যা শুনে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী মন্তব্য করেন, ‘তাহলে এক মাসের কম সময় জেলে আছেন।’
এদিন আইনজীবী কপিল সিব্বল প্রশ্ন করেন, ‘এমানুল হক ইতিমধ্যেই জামিন পেয়েছেন, সতীশ কুমার জামিন পেয়েছেন। অথচ যিনি মূল অভিযুক্ত নন, সেই অনুব্রত মণ্ডল ১১০ দিন জেলে আছেন। শুধু ১২০ বি অর্থাৎ ষড়যন্ত্রের অভিযোগে জেলে রাখা আছে তাঁকে।’ তবে আপাতত জামিন পাচ্ছেন না অনুব্রত। এবার দু’টি আর্জি নিয়ে আদালতে গিয়েছিলেন অনুব্রত। একটি এই জামিন মামলা। যার শুনানি ছিল আজকে।
ইতিমধ্যেই আসানসোল আদালতে এই জামিনের আবেদন করে বেশ কিছু বিষয় তুলে ধরেছেন অনুব্রতর আইনজীবীরা। এরমধ্যে অন্যতম, সিবিআই এখনও অনুব্রতর বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষ কোনও প্রমাণ পাননি। তাঁর আইনজীবীরা জানিয়েছেন, এখনও তদন্তকারী সংস্থা আদালতে এমন কোনও তথ্য তুলে ধরতে পারেনি যাতে প্রমাণ হয় গরু পাচার মামলায় সরাসরি যুক্ত অনুব্রত মণ্ডল। পাল্টা সিবিআইয়ের বক্তব্য, সম্প্রতি টাকা পয়সা লেনদেন সংক্রান্ত বেশ কিছু তথ্য হাতে এসেছে তাদের। বিশেষ করে লটারির মাধ্যমে টাকা পয়সার যে হিসাব এসেছে তার আরও তদন্ত দরকার।
শুধু সিবিআই নয়, ইডিও তদন্ত করছে অনুব্রত-মামলায়। ইতিমধ্যেই তাঁকে শোন অ্যারেস্ট করা হয়েছে। ইডি অনুব্রতকে দিল্লিতে নিয়ে যেতেও মরিয়া। এই অবস্থায় ইডির মামলাতেও স্থগিতাদেশ চেয়ে অনুব্রতর আরও একটি মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। তার শুনানি অবশ্য ২ ডিসেম্বর।