কলকাতা: ২০১৪ সালের টেট নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন বিজেপি নেতা। মানস ঘোষ নামে ওই বিজেপি নেতা এই মামলা দায়ের করেন। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের এজলাসে মঙ্গলবার মামলার শুনানি ছিল। রাজ্যের কাছে এদিন এ সংক্রান্ত হলফনামা তলব করে আদালত। পাল্টা রাজ্যের তরফে এদিন আদালতে প্রশ্ন তোলা হয়, ২০১৭ সালে নিয়োগ হয়েছিল, অথচ সে সংক্রান্ত মামলা দায়ের করতে পাঁচ বছর সময় লেগে গেল? প্রশ্ন তোলেন অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়। ২০১৪ সালে এই টেট হয়। ২০১৬ সালে ফল প্রকাশ হয়। ২০১৭ সালের মধ্যে সম্পূর্ণ হয় নিয়োগ প্রক্রিয়া। মামলাকারী এত বছর পর হঠাৎই আদালতের দ্বারস্থ হয়ে জানান, এই নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে। তাই তাঁর আর্জি, এই তদন্ত সিবিআইকে দিয়ে করানো হোক। একইসঙ্গে বলা হয়, এমন একজন মামলা করলেন যিনি কোনও পরীক্ষার্থী নন, শিক্ষক নন কিংবা কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্তও নন। যদিও আদালত রাজ্যের কাছে হলফনামা চেয়েছে। আদালত জানতে চায়, কোন প্রক্রিয়ায় এই নিয়োগ হয়েছিল, কীভাবে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল, কারাই বা চাকরি পেলেন।
২০১৪ সালের টেট নিয়ে বিতর্ক যেন পিছুই ছাড়ছে না। একাধিক মামলা হয়েছে এই পরীক্ষা নিয়ে। এর আগে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতিকে। ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় প্রশ্নপত্রে ভুল থাকার জন্য ২০১৮ সালে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন, ভুল প্রশ্নের উত্তর যারা দিয়েছেন তাদের পূর্ণাঙ্গ নম্বর দিতে হবে।
কিন্তু পর্ষদ তা করেনি। যা আদালত অবমাননার শামিল বলেই মনে করে আদালত। এ নিয়ে মামলাও হয়। তা নিয়ে পর্ষদকে ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয়। অন্যদিকে শান্তনু সিট নামে এক পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা পুরোপুরি বাতিল করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এরপরই আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। তাঁর বক্তব্য, টেটের ফল নিয়ে সংশয় রয়েছে তাঁর মনে। টেটের ওএমআর শিট বা উত্তরপত্র দেখানোর দাবি তোলেন তিনি।