কলকাতা: ফের অস্বস্তি বাড়ল স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC)। নবম-দশমের সহকারী শিক্ষক নিয়োগে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করা হল। বৃহস্পতিবার এই স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়। আগামী ১৭ জুন পর্যন্ত নবম-দশমে নতুন করে নিয়োগ করতে পারবে না রাজ্য। এমনই নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। এর আগেও এসএলএসটি মামলায় একাধিক অস্বচ্ছতার অভিযোগ উঠেছে। এই এসএলএসটি মামলার প্রেক্ষিতেই তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সিবিআই জিজ্ঞাসা করতে, এমন নির্দেশও আদালত দিয়েছিল। পরবর্তীকালে সেই নির্দেশে যদিও স্থগিতাদেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। এরইমধ্যে বৃহস্পতিবার একটি নতুন মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে। মামলাকারী সোমা সিনহা একজন পরীক্ষার্থী।
মামলাকারীর বক্তব্য, ২০১৭ সালে নবম-দশম নিয়োগের যে প্যানেল প্রকাশিত হয়েছিল সেই প্যানেলে কোনও নম্বর বলা ছিল না। যার ফলে পরীক্ষায় তাঁর কী স্থান, তা তিনি বুঝতে পারছেন না। তার প্রেক্ষিতেই এদিন শুনানি হয়। এদিন আদালতের পর্যবেক্ষণ, যদি কমিশন স্বচ্ছই হয়, সেক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীদেরও তো ভরসা পাওয়ার কথা। কিন্তু এখানে পরীক্ষার্থীরা ভরসা পাচ্ছেন না। তাই ফের এই প্যানেল প্রকাশের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, পরীক্ষার্থীর একটা সাংবিধানিক বডির (কমিশন) উপর কোনও ভরসা নেই। লিস্টে কোনওরকম ক্ষমতার ব্যবহার হয়েছে কি না সেটা প্রাপ্ত নম্বরের ব্রেক আপ ছাড়া বোঝা সম্ভব নয়। কমিশন ১০ দিনের মধ্যে লিখিত পরীক্ষার নম্বর প্রকাশ করবে। মামলাকারীর আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত বলেন, “গত কয়েকদিনে এমন অনেক প্রমাণই আদালতের কাছে এসেছে। প্যানেলে নাম নেই বা কম নম্বর পেয়েছেন তাঁরাও চাকরি পেয়েছেন। তার ভিত্তিতেই মামলা করে বলা হয় যাঁরা প্যানেলে আছেন, যাঁরা ওয়েটিং লিস্টে আছেন তাঁদের নম্বর সামনে আনতে হবে। তাহলেই বোঝা যাবে কতটা স্বচ্ছভাবে এই নিয়োগ হয়েছে।”
প্রসঙ্গত, শুক্রবারই এই নিয়োগ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ শুনানি রয়েছে হাইকোর্টে। বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ এই নিয়োগসংক্রান্ত মামলায় তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সিবিআই-জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশে যে স্থগিতাদেশ দেন তার শুনানি রয়েছে। পাশাপাশি সমস্ত নবম দশমের গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি মামলায় সিবিআই তদন্তের যে নির্দেশে স্থগিতাদেশ ছিল, সেগুলিরও শুনানি রয়েছে।