কলকাতা: পুজোর মরশুমে যখন গোটা বাংলা আনন্দে মেতে উঠেছিল, তখন উত্তরের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বিষাদের সুর। পুজোর মুখেই এক ভয়ঙ্কর প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সাক্ষী থেকেছে উত্তরের একাধিক জেলা। তিস্তার হড়পা বানে (Teesta Flood) বিপর্যস্ত হয়ে গিয়েছিল কালিম্পঙের বিস্তীর্ণ এলাকায়। প্রভাব পড়েছিল জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার-সহ ডুয়ার্সের বিভিন্ন জায়গাতেও। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) যখন ভার্চুয়ালি জেলার পুজোগুলির উদ্বোধন করছিলেন, তখনও এই ভয়ঙ্কর প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কথা উঠে এসেছিল মুখ্যমন্ত্রীর গলায়। এবার প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বিপর্যস্ত আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙে স্পেশাল দুয়ারে সরকার (Special Duare Sarkar) শিবির চালাবে রাজ্য সরকার।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে এই বিশেষ দুয়ারে সরকার শিবিরের কথা ঘোষণা করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, তিস্তার হড়পা বানে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির পাশে দাঁড়ানোর জন্য এই স্পেশাল দুয়ারে সরকার শিবির চালানো হবে। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময় যাঁদের রেশন কার্ড কিংবা অন্যান্য সামাজিক সুরক্ষা সংক্রান্ত কার্ড হারিয়ে গিয়েছে বা নষ্ট হয়ে গিয়েছে, তাঁদের কাছে পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্যই এই স্পেশাল দুয়ারে সরকার শিবিরের আয়োজন করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে জানিয়েছেন, কবে এই স্পেশাল দুয়ারে সরকার শিবির আয়োজিত হবে সংশ্লিষ্ট জেলাগুলিতে, তা স্থানীয় স্তরে জেলাশাসকরা সিদ্ধান্ত নেবেন।
Announce hereby that special Duare Sarkar camps will be organized at Alipurduar, Jalpaiguri and Kalimpong districts for the families affected by the recent Teesta floods in Sikkim which impacted large tracts in our hills and Dooars areas too. The camps will be particularly…
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) November 3, 2023
উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি পরিষেবা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য চালু করা হয়েছে ‘দুয়ারে সরকার’ শিবির। সরকারি দফতরে ছোটাছুটির বদলে গ্রামে গ্রামে দুয়ারে সরকারের শিবির থেকেই বিভিন্ন পরিষেবা পেয়ে যান সাধারণ মানুষ। মুখ্যমন্ত্রীর এই উদ্যোগ ইতিমধ্যেই বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে বিভিন্ন মহলে। আর এবার উত্তরবঙ্গের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বিপর্যস্ত এলাকাগুলির জন্য স্পেশাল দুয়ারে সরকার শিবির ঘোষণা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।