Mamata Banerjee: নবান্নে বাংলাদেশের হাইকমিশনার, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কী কথা হল?
Mamata Banerjee: সম্প্রতি বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পৈতৃক ভিটেতে হামলা চালায় এক দল দুষ্কৃতী। এই ঘটনার নিন্দা করে সরব হন মমতা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে তিনি চিঠিও দেন।

কলকাতা: নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম রিয়াজ হামিদুল্লার সঙ্গে বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার নবান্নে এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশের কার্যনির্বাহী ডেপুটি হাইকমিশনার মহম্মদ আশরাফুল সিকদার ও রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। বাংলাদেশের হাইকমিশনারের তরফে মুখ্যমন্ত্রীর হাতে তুলে দেওয়া হয় বাংলাদেশের মিষ্টি, শাড়ি-সহ আরও বেশ কিছু উপহার সামগ্রী।
৯ বছর পর বাংলাদেশের হাইকমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। এর আগে ২০১৬ সালে তৎকালীন হাইকমিশনার মোয়াজ্জেম আলির সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। সেই বৈঠককে ‘সৌজন্য সাক্ষাৎ’ বলেছিল দুই পক্ষ। গত ৯ বছরে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের হাইকমিশনারের আরও কোনও বৈঠক হয়নি।
গত প্রায় এক বছরে পদ্মা দিয়ে অনেক জল বয়ে গিয়েছে। কোটা বিরোধী আন্দোলনের জেরে প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশে এখন অন্তর্বর্তী সরকার রয়েছে। আর এই অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর বারবার হামলার অভিযোগ সামনে এসেছে। সম্প্রতি বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পৈতৃক ভিটেতে হামলা চালায় এক দল দুষ্কৃতী। এই ঘটনার নিন্দা করে সরব হন মমতা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে তিনি চিঠিও দেন।
এই আবহে এদিন বিকেল সাড়ে পাঁচটায় বাংলাদেশের হাইকমিশনারের সঙ্গে নবান্নে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। আলাপচারিতায় কী কী বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তা নিয়ে মুখ খোলেনি কোনও পক্ষই। যদিও কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশের কার্যনির্বাহী ডেপুটি হাইকমিশনার এই বৈঠককে ‘সৌজন্য সাক্ষাৎকার’ বলেছেন। সূত্রের খবর, বৈঠকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসের প্রতি আন্তরিক শ্রদ্ধা জানান মুখ্যমন্ত্রী।





