কলকাতা: প্রত্যেক বিধানসভা এলাকায় তৃণমূলের বিজয়া সম্মেলন হচ্ছে। বিধায়কদের সেই অনুষ্ঠান আয়োজনের দায়িত্ব দিয়েছে দল। বৃহস্পতিবার ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিজয়া সম্মেলন ছিল। এই কেন্দ্রের বিধায়ক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর উপস্থিতিতেই এদিনের অনুষ্ঠান হয়। সেই অনুষ্ঠান থেকে সর্ব ধর্ম সমন্বয়ের বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী। সামনেই কালীপুজো, ছটপুজো। সকলকে শান্তিপূর্ণভাবে তা পালনের কথা বলেন। মমতা বলেন, “কালীপুজোটা ভাল করে করতে হবে। বাজি রেস্ট্রিকশন করে করতে হবে। আমার একটা আচরণ যাতে আরেকজনের দুঃখের কারণ না হয়, সেটা দেখতে হবে। সবার উৎসবেই আমাদের উৎসব।” এই অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন রাজ্যের সংস্কৃতির সঙ্গে সম্পৃক্ত তিনি। গুজরাটের ডান্ডিয়া থেকে আদিবাসীদের ধামসা মাদলের সংস্কৃতি সবকিছুর সঙ্গেই তাঁর পরিচয় রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “গুজরাটিদের ডাণ্ডি নাচ আমাকে কিন্তু শেখায়নি কেউ। আমি নিজে নিজে একটা দু’টো ইধার উধার করতে পারি। ধামসাও কেউ শেখায়নি, মাদলও কেউ শেখায়নি। বলতে পারেন ছোট্টবেলায় আমি তিনটে বছর গান শিখেছিলাম, অফিশিয়ালি। থার্ড ইয়ার পর্যন্ত করে আর আমার করা হয়নি। তার মধ্যেই যতটুকু সারেগামাপা বা কিছু খেয়াল বা কিছু শিখেছিলাম সেটা থেকেই পটাপট এখনও ইধার উধার করে…। গানের একটা আইডিয়া আছে। ডান্স করিনি। সেই ছোটবেলায় ফাগুন লেগেছে বনে বনে রবীন্দ্র জয়ন্তীতে বা পৌষ তোদের ডাক দিয়েছে। এসব তো চলেই। হিন্দি হোক, বাংলা হোক, উর্দু হোক।”
এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়েই উর্দু ভাষার ‘মিষ্টতা’ নিয়ে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি পুরোটা এ ভাষা বলতে পারেন না, তবে হিন্দিতে তাঁর ছ’টা বই ইতিমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে বলে জানান তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “চেষ্টা তো করেছি। হিন্দিতেও বেরিয়েছে, অলচিকিতেও বেরিয়েছে, রাজবংশীতেও লিখেছি, লেপচাতেও বেরিয়েছে। এখন যদি আরেকটু কেউ দায়িত্ব নেন, সর্দারজিরা, তা হলে পাঞ্জাবীতেও বেরোতে পারে। যদি গুজরাটিতে মনে করেন কাজটা অনুবাদ করবেন, করতে পারেন। সব বই-ই যে কোনও ভাষায় অনুবাদ হতে পারে।”
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, পুজোকে কেন্দ্র করে ৫০ হাজার কোটি টাকা আয় হয়েছে। এই পুজো ঘিরে ফুচকা বিক্রেতা, ঝালমুড়ি বিক্রেতা, রোল বিক্রেতাদের মতো ছোট ব্যবসায়ীদের লাভের দিকটাও তুলে ধরেন তিনি। তাঁর কথায়, এই পুজোয় গরীব লোকেরা অনেকটাই লাভের মুখ দেখেন।